প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ (স্পেশাল প্রোভিশন), আইন ১৯৯১-এর বিধান অসাংবিধানিক। তাই এটি বাতিল করা দরকার। এমনই দাবি তুললেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ হরনাথ যাদব। এই আইন সমতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করেছে।
এর তীব্র প্রতিবাদ করেন বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। এই ধরনের আর্জি ‘জিরো আওয়ারে জমা দেওয়ার’ অনুমতি কেন দেওয়া হল। এরকম অনুমতি যাতে না দেওয়া হয়, সেজন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা।
উত্তরপ্রদেশের সাংসদের ক্ষোভ, আদালতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। এর অর্থ যথেষ্ট স্পষ্ট। এর অর্থ বিদেশি হানাদাররা যাতে কৃষ্ণের জন্মভূমি ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলিকে জোর করে দখল করতে পারে, সরকার তার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই আইন হিন্দু, জৈন, শিখ ও বৌদ্ধদের ধর্ম পালন ও প্রচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
১৯৯১ সালের এই আইন তৈরি হয়েছিল যে কোনও উপাসনালয়ের ধর্মান্তরকে নিষিদ্ধ করতে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি ৬ ডিসেম্বরে শ্রীকৃষ্ণের ‘প্রকৃত জন্মস্থানে’ কৃষ্ণের মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
তারপরই মথুরা জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। সাংসদের এই বক্তব্যে দেশীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে বিজেপি ফের ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটতে পারে।
প্রসঙ্গত, শুধু আযোধ্যার রাম মন্দির নয়, মথুরাতেও মন্দির নির্মানের কথা উঠে আসছে নির্বাচনী প্রচারে। কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য টুইট করেন, ‘অযোধ্যা আর কাশীতে মস্ত মন্দির তৈরি হচ্ছে, এর পরে পালা মথুরার।’
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।