

শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিস (CSO) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২১ অর্থবর্ষে ৮.৫৫ মিলিয়ন চাকরি তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে মহামারী আসার আগে এই সংখ্যাটি ছিল ১১ মিলিয়ন। অর্থাৎ প্রায় ২২% কমেছে চাকরির ক্ষেত্র। ২০১৯ অর্থবর্ষে চাকরি তৈরি হয়েছে ১৩.৯ মিলিয়ন।
গত কয়েক মাসে চাকরি হারানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ধীরগতির প্রসঙ্গে সরকার EPFO-র পরিসংখ্যান উল্লেখ করে দাবি করেছে, চাকরি তৈরির ক্ষেত্র ক্রমশই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, EPFO (Employees’ Provident Fund Organisation) ডেটা কর্মসংস্থানের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরে না। কারণ এটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিশাল সংখ্যক কর্মীকে হিসাবের বাইরে রাখে। EPF সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য যেখানে ২০ জনের জনের বেশি কর্মী আছে।
চাকরির ক্ষেত্র কমশ কমছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট উল্লেখ করে সিপিআইএম –এর সাধারণ সম্পাদক ট্যুইট করে একহাত নিয়েছেন মোদী সরকারকে। তাঁর দাবি, এই কঠিন পরিস্থিতিতে যে সব পরিবার ট্যাক্সের আওতার মধ্যে পড়ে না তাঁদের সাড়ে সাত হাজার টাকা করে নগদ টাকা করে দিক সরকার। তিনি ট্যুইট করে লেখেন – “চাকরি হারানোর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মোদি সরকার ট্যাক্সের আওতার বাইরে থাকা সমস্ত পরিবারকে নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা দিক।”
তবে CSO ডেটা অনুসারে, ২০২২ অর্থবর্ষ তুলনামূলক কিছুটা ভালো অবস্থায়। এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৬ মিলিয়নেরও বেশি নতুন EPF গ্রাহক হয়েছে। জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে চাকরির পরিস্থিতিও কিছুটা ভালো ছিল। তখন প্রতি মাসে প্রায় ১ মিলিয়ন গ্রাহক EPFO তে যোগ দিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন