
তীব্র গরমের মাঝেই দেশবাশীকে স্বস্তির খবর শোনাল ভারতীয় মৌসম ভবন (আইএমডি)। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে গোটা দেশেই। ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে এই বৃষ্টিপাতের ফলে লাভবান হবেন কৃষকেরা। তবে কয়েকটি জায়গায় স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হতে পারে।
দেশে প্রতি বছর সরকারিভাবে বর্ষা প্রবেশ করে ১ জুন, কেরালা হয়ে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় বর্ষা বিদায় নেয় দেশ থেকে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বছর প্রায় দেশের সব জায়গায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশ বৃষ্টি হলে সেটাকে স্বাভাবিক হিসাবে ধরা হয়। তবে চলতি বছর ১০৫ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বছর দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হবে। তবে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং তামিলনাড়ুতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯ সালের পর চলতি বছর দেশে বৃষ্টির এই অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, দেশে বৃষ্টির উপযুক্ত পরিস্থিতি রয়েছে এখন। কী কারণে এই অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটাও জানিয়েছে আইএমডি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এল নিনো এবং ইন্ডিয়ান ওশিয়ান ডিপোল (আইওডি) বর্তমানে দেশে প্রশমিত অবস্থায় রয়েছে।
এল নিনো হল উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত, যার প্রভাব পড়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ায়। কোনও কোনও বছর মধ্য এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগের জলস্তর বেশি উষ্ণ হয়ে ওঠে। এর প্রভাবই পড়ে ভারতের বর্ষা এবং বৃষ্টিপাতে।
ভারত মহাসাগরের পূর্ব এবং পশ্চিম ভাগের সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতার তারতম্য হলে তাকে আইওডি বলে। আইওডি ইতিবাচক হলে ভারতে বৃষ্টি বৃদ্ধি পায়। এই মুহুর্তে, এল নিনো এবং আইওডি উভয়ই নিরপেক্ষ অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে এবছর দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণে অনেকটাই বদল ঘটেছে। ফলে চলতি বছর যদি বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে তাতে লাভবান হবে কৃষকেরাই। এছাড়া প্রাপ্ত বৃষ্টিপাত সেচ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অর্থনীতির জন্য এটি অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন