Ashoka University: অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর! মোদী সরকারকে আক্রমণে কংগ্রেস

অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সমস্ত বিভাগেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অর্থনীতি ছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান সহ একাধিক বিভাগ অধ্যাপক দাসের পুনর্নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছে।
অধ্যাপক সব্যসাচী দাস (ডানদিকে)
অধ্যাপক সব্যসাচী দাস (ডানদিকে)ফাইল ছবি

হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের গবেষণাপত্র নিয়ে যেন বিতর্কের কোনও শেষ নেই। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি ও বিজেপির বিপুল জয় নিয়ে গবেষণাপত্রে প্রশ্ন তোলায় আগেই চাকরি খোয়াতে হয়েছে ওই অধ্যাপককে। এবার তাঁর খোঁজে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-এর একটি দল। এই নিয়ে মোদী সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস।

কয়েকমাস আগেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি ও বিজেপির নির্বাচনী ম্যানিপুলেশন নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন অধ্যাপক সব্যসাচী দাস। প্রকাশের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক মহলে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে এই গবেষণাপত্র। কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বিবাদের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে এটি। এরপর চলতি মাসের গোড়াতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কার্যত পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় ওই অধ্যাপককে। তাঁর পদত্যাগের পর অর্থনীতি বিভাগের আরও এক অধ্যাপক পুলাপ্রে বালাকৃষ্ণাণও সহকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করেন।

কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এবার অধ্যাপক সব্যসাচীর খোঁজে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হল IB-এর একটি দল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত সোমবার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে অধ্যাপক দাসের খোঁজ করেন IB আধিকারিকরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের ‘অধ্যাপক দাস ছুটিতে আছেন’ বলে জানানো হলে তাঁরা অর্থনীতি বিভাগের অন্যান্য সদস্য ও অধ্যাপকদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ক্যাম্পাসের একটি সুত্র সংবাদসংস্থা IANS-কে এই খবরটি জানিয়েছে।

অন্যদিকে, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল পাঠানো নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ এক্স-এ লেখেন, “গবেষণাপত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য একটি জনপ্রিয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের পিছনে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর দল পাঠিয়ে মোদী সরকার বারবার ভারতে গণতন্ত্রের হত্যার বিষয়টিকেই প্রমাণ করছে। এটা সত্যি নজিরবিহীন ঘটনা।”

প্রসঙ্গত, অর্থনীতি বিভাগের ওই অধ্যাপকের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সমস্ত বিভাগেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অর্থনীতি ছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান এবং অ্যানথ্রোপলজি বিভাগ সহ একাধিক বিভাগ অধ্যাপক দাসের পুনর্নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের ৯১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩২০ জন অর্থনীতিবিদও সব্যসাচীর সমর্থনে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

অধ্যাপক সব্যসাচী দাস (ডানদিকে)
NEP: অফিসিয়ালি জাতীয় শিক্ষানীতি বর্জন কর্ণাটক সরকারেরও, আগামী বছরই চালু হবে রাজ্যের নিজস্ব নীতি
অধ্যাপক সব্যসাচী দাস (ডানদিকে)
উত্তরপ্রদেশে ৫ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে মুসলিম নাবালককে ‘পিটিয়ে হত্যা’র অভিযোগ, ঘটনার ৪ মাস পর FIR রুজু

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in