কৃষকদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র চেহারা নিল হরিয়ানা। দ্রুত ধান সংগ্রহের দাবিতে শাসকদলের বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টারের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন হাজার জনেরও বেশি কৃষক। বিতর্কিত কৃষি আইন এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
পরিস্থিতি এতোটাই গুরুতর হয়ে উঠেছে যে তড়িঘড়ি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জে পি দালালকে সাথে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। জাতীয় রাজধানীতে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "ধান সংগ্রহের বিষয়ে কৃষকদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।"
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসবাণীতে আশ্বস্ত হননি কৃষকরা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার এবং রাজ্যে শাসকদলের অন্যান্য বিধায়ক ও সাংসদদের বাসভবনের সামনে এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনের লক্ষ্যে কার্নালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে তাঁবু খাটিয়েছেন কৃষকরা। এছাড়াও সিরষার সাংসদ সুনিতা দুগ্গল, কুরুক্ষেত্রের বিধায়ক সুভাষ সুধা সহ আরও কয়েকজন সাংসদ-বিধায়কের বাসভবনের সামনে তাঁবু খাটিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের আটকাতে জনপ্রতিনিধিদের বাসভবনের সামনে কয়েকস্তরীয় ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গাতেই কৃষকরা এই ব্যারিকেড ভেঙে বাসভবনের মূল ফটকের বাইরে পৌঁছে গেছেন। সেখানেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনের বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছিল পুলিশ। কিন্তু কৃষকরা তাঁদের অবস্থান থেকে সরেননি।
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় এক ট্যুইটবার্তায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। গতকাল থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কথা ছিল কৃষকদের। কিন্তু কেন্দ্র সরকার তা ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মান্ডিতে ধান আসা শুরু হয়েছে। কৃষকদের আশঙ্কা দীর্ঘদিন মান্ডিতে এভাবে ধান পড়ে থাকলে না নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ধান সংগ্রহের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কৃষকরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।