পলাতক রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি
পলাতক রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিফাইল ছবি সংগৃহীত

বিপুল অঙ্কের ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি! মেহুল চোকসি সহ অন্যদের বিরুদ্ধে নতুন FIR দায়ের CBI-র

৬,৩০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে সিবিআই-র মুম্বাই শাখা।
Published on

শুক্রবার পলাতক হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি ও তাঁর কোম্পানি গীতাঞ্জলি জেমস এবং নক্ষত্র ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি নতুন এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। ৬,৩০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে সিবিআই-র মুম্বাই শাখা।

সিবিআই-র এক আধিকারিক জানান - ২০২২ সালের ২১ মার্চ তাঁদের কাছে দুটি অভিযোগ আসে। অভিযোগটি জানান পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মুম্বাইয়ের জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার ওয়াধওয়া।

তিনি বলেন, প্রথমত পিএনবি (PNB)-র অধীনে থাকা ৯টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম থেকে অন্যায়ভাবে ৮০৭.৭২ কোটি টাকা জালিয়াতি করেছেন গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহুল চোকসি এবং এনবিএল-র ডিরেক্টর তথা গ্যারেন্টর ধনেশ ব্রজলাল শেঠ। দ্বিতীয়ত, আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাঙ্কের অধীনে থাকা ২৮টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম থেকে ৫,৫৬৪.৫৪ কোটি টাকা জালিয়াতি করেছিলেন মেহুল চোকসি সহ অন্যান্যরা।

সিবিআই-র দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, "২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড অনুমোদনের সুবিধা থাকায় বিরাট বড় ষড়যন্ত্র করে এনবিএল (NBL) সহ অন্যান্যরা। সেই সময়কালের মধ্যেই পিএনবি-র নেতৃত্বাধীন ৯ টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম থেকে বিপুল পরিমাণ জালিয়াতি করেছে অভিযুক্তরা।"

সিবিআই-র দাবি, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পিএনবি-র মত একইভাবে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ২৮টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম থেকে বড়সড় জালিয়াতি হয়েছিল। গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেড এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা ক্রেডিট কার্ড অনুমোদনের সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই এত বড় মাপের ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল।

এফআইআর-এ আরও বলা হয়, "অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাঙ্কের তহবিল থেকে টাকা চুরি করেছে। পরবর্তীকালে এনবিএল (NBL)-কে এনপিএ (NPA) হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং আরবিআই-এর কাছে জালিয়াতির বিষয়টি রিপোর্ট করা হয়েছিল।"

এনবিএল মূলত মেহুল চোকসি পরিচালিত গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেডের একটি সহযোগী ও প্রভাবশালী কোম্পানি। যেটি নিয়ন্ত্রণও করতেন মেহুল চোকসি। সূত্রের খবর, বর্তমানে তিনি অ্যান্টিগায় রয়েছেন।

সিবিআই আধিকারিক জানান, তারা গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেড, মেহুল চোকসি, ধনেশ ব্রজলাল শেঠ, কপিল মালি রাম খান্ডেলওয়াল, চন্দ্রকান্ত কানু কারকারে এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-র বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

পলাতক রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি
Bank Loan: পাঁচ বছরে ঋণ মকুব প্রায় ১০ লক্ষ কোটি, ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় শীর্ষে মেহুল চোকসির সংস্থা
পলাতক রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি
আগামী বছর আরও কঠিন, বৃদ্ধি বাড়বে সেরকম কিছুই করেনি সরকার: রঘুরাম রাজন

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in