হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলন আরও বড় আকার নিল কারনালের পুলিশের লাঠির আঘাতে কৃষকের নিহত হওয়ার ঘটনায়। এই ঘটনায় তোলপাড় সে-রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। অবিলম্বে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
শনিবার কারনালের পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনার মূল অভিযুক্ত কারনালের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আয়ুষ সিনহার বিরুদ্ধে দ্রুত খুনের মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানা সরকারের উদ্দেশে। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আয়ুষ সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মহকুমাশাসকের দপ্তর অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করে রাখা হবে।
সোমবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহ্বানে ঘারুয়ান্ডায় সবজি বাজারে মহা পঞ্চায়েত হয়। সেখানে নিহত কৃষকের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ, পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি এবং আহত ১০ জনের চিকিৎসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে সরকারি সহায়তার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতি দিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ, যারা কৃষক আন্দোলন রুখতে গিয়ে কৃষক খুন করল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে ১০০ জন আন্দোলনকারী কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের ওপর বিনা শর্তে এই মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি কৃষক হত্যায় অভিযুক্ত প্রত্যেককে প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানানো হয় এসকেএমের পক্ষ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার বলেছিলেন, যান চলাচলের জন্য জাতীয় সড়ক স্বাভাবিক রাখা পুলিশের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কৃষকরাই বিক্ষোভ করে পুলিশের দিকে ইট পাথর ছুঁড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি চালায়।
যদিও মনোহর লালের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতা তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সত্যপাল মালিকও। এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের বরখাস্তের দাবি জানান। প্রসঙ্গত, কারনালের পুলিশের অত্যাচারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে যে, সেখানে 'মাথা গুঁড়িয়ে' দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন আয়ুষ সিনহা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।