

জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট (ভিডিও রেকর্ডিং) জমা পড়েছে বারাণসী আদালতে। বৃহস্পতিবার সকালে, আদালতে এই রিপোর্ট জমা দেন আদালত নিযুক্ত কমিশনার বিশাল সিংহ। তবে এই রিপোর্ট নিয়ে বারাণসী আদালত এখনই কোনও রায় দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা দিয়েছিলেন মসজিদ কমিটি। তার ভিত্তিতেই আপাতত জ্ঞানব্যাপী নিয়ে রায়দানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলার শুনানি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার, শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে বিকাল ৩ টায়। আর এই সময়কালের মধ্যে কোনও রায় দিতে পারবে না বারানসী আদালত। একইসঙ্গে, সব পক্ষকে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
এই মমলায়, গত ১৭ মে, জ্ঞানবাপী মসজিদে নামাজের জন্য মুসলিমদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে, বারাণসীর আদালত নিযুক্ত কমিশনারের সমীক্ষার সময় মসজিদ চত্বরের যেখান থেকে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বারাণসীর জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে, গত ১৬ মে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে ‘ধর্মস্থান আইন-১৯৯১’-এর উল্লেখ করেছেন অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির বরিষ্ঠ আইনজীবী হুজেফা আহমদী। বারাণসী আদালতের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে তিনি শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিলন, ‘১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টে যে ধর্মস্থান যে অবস্থায় ছিল, তা অপরিবর্তিত থাকবে বলে বলা হয়েছিল এই আইনে। একইসঙ্গে, এই আইনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যে ধর্মস্থান যে ধর্মীয় চরিত্রের ছিল, তাকে পরিবর্তন করার কোনও মামলা বা আবেদন দায়ের হলে তা গ্রাহ্য করা যাবে না এবং বকেয়া মামলা থাকলে তা বাতিল করা হবে।’ তারপরেই এই মামলা নিয়ে বারাণসী আদালতের রায়দানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন