
খ্যাতনামা বর্ষীয়ান সাংবাদিক সিদ্ধার্থ বরদরাজন এবং করণ থাপারের পর আরও এক সাংবাদিক তথা ইউটিউবার অভিসার শর্মার (Abhisar Sharma) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল গুয়াহাটি পুলিশ। আসাম সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে 'উপহাস এবং ধর্মীয় শত্রুতা প্রচারের' অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে আসাম পুলিশ। অভিযোগ, অভিসার শর্মা ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন যেখানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যদিও সাংবাদিক এবং ইউটিউবার অভিসার শর্মা বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনা ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট-কে (FIR) "সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন" বলে বর্ণনা করেছেন। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টে এফআইআর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "আইনগতভাবে এর জবাব দেওয়া হবে"। "আমি... মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উপর তথ্য তুলে ধরেছিলাম - তাঁর নিজস্ব বক্তব্যের ভিত্তিতে।"
আসামের স্থানীয় এক ব্যক্তি অলোক বড়ুয়া (২৩) বৃহস্পতিবার অভিসার শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, “অভিসার শর্মা রাম রাজ্যের নীতিকে উপহাস করেছেন। তিনি তাঁর ভিডিওতে দাবি করেছেন, সরকার কেবল হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণের উপর নির্ভর করে রয়েছে। এই মন্তব্যগুলি কেন্দ্র এবং আসাম সরকারকে অসম্মান করার উদ্দেশ্যে করেছেন তিনি। যার ফলে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বিপন্ন হচ্ছে।"
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, নিজের ভিডিওর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দা*ঙ্গা উস্কে দিতে চাইছেন অভিসার শর্মা। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচারের অভিযোগ করেছেন শর্মা তাঁর ভিডিওতে। এর ফলে রাজ্য তথা দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে। এছাড়া রাম রাজ্যের নীতিকে উপহাস করেছেন অভিসার শর্মা বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী দাবি করেছেন যে, অভিসার শর্মা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধসমূহ ভারতীয় দণ্ডবিধি সংহিতা (BNS)-এর ১৫২ ধারা (যা রহিত হওয়া দেশদ্রোহ আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে এমন কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে), ১৯৬ ধারা (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা, জাত বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচারের অপরাধ) এবং ১৯৭ ধারা (জাতীয় সংহতির পরিপন্থী অভিযোগ ও মন্তব্য সম্পর্কিত অপরাধ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন