

আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে (এএমসি)কে সতর্ক করল গুজরাট হাইকোর্ট। সম্প্রতি ফুটপাতে আমিষ খাবার বিক্রির স্টলগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আহমেদাবাদ পুরসভা। প্রকাশ্যে আমিষ খাবার বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। গুজরাট হাইকোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী - “কিছু লোকের অহংকারকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ করা উচিত নয়।”
অবশ্য তাতে বিশেষ হেলদোল নেই আহমেদাবাদ পুরসভার। তাঁদের বক্তব্য ফুটপাত দখল করে স্টল দেওয়ায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমিষ খাবার বিক্রি করে এমন ২৫ টি ঠেলাগাড়ি বাজেয়াপ্ত করে আহমেদাবাদ পুরসভা। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেই এমন মন্তব্য করে আদালত। ঠেলাগাড়িতে মূলত আমিষজাতীয় খাবার বিক্রি হত।
বিচারক বলেন রাজনৈতিক চাপে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত। তাঁর কথায় – “শাসক দল ডিম খেতে নিষেধ করেছে বলে আপনারা এদের তুলে নিয়ে যাবেন? কেন এমন করছেন?” তিনি আরও বলেন – “আপনাদেরর সমস্যাটা কী? আমি আমার বাড়ির বাইরে কী খাব সেটা পুরসভা ঠিক করে দেবে? কেউ যদি কিছু খেতে চায়, আপনারা কীভাবে তার খাওয়া আটকাতে পারেন? আপনি খেতে চান না, মানে অন্যের খাওয়া আটকাবেন, এটা ক্ষমতায় থাকলেও করা যায় না।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আহমেদাবাদ পুরসভা নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, স্কুল-কলেজ ও ধর্মীয় স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে আমিষ খাবারের স্টল করা যাবে না। শুধু আহমেদাবাদ নয় ভদোদারা, রাজকোট, দ্বারকা সহ রাজ্যের অধিকাংশ শহরেই এই নিয়ম চালু হয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল দাবি করেছিলেন, আমিষ খাবারের নামে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন