
বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে গাড়ির রেস! আর সেই বাজি জিততে গিয়েই দুই পথচারীকে পিষে মারার অভিযোগ উঠল গুজরাটের এক পুলিশকর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আরও দুই পথচারী আহত হয়েছেন। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাতে।
ঘটনাটি ঘটেছে, গুজরাটের ভাবনগরের কালিয়াবীড় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম হর্ষরাজ সিং গোহিল (২০)। তিনি ভাবনগর পুলিশের অপরাধদমন শাখার অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) অনুরুদ্ধ সিংহ বাজুভা গোহিলের ছেলে।
গাড়ি চালানোর শখ রয়েছে হর্ষরাজের। মাঝে মধ্যেই এমন গাড়ির রেস করে থাকেন তিনি। এবার তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন ভিড় রাস্তার মধ্যে কে কত জোরে গাড়ি চালাতে পারে। পরিকল্পনা মতো নিজের এসইউভি নিয়ে আসেন হর্ষরাজ। বন্ধুঅ নিয়ে আসে তাঁর নিজের গাড়ি। ঠিক হয়েছিল কালিয়াবীড় এলাকায় এই রেস হবে।
হর্ষরাজ একটি ক্রেটা এবং তাঁর বন্ধু লাল রঙের ব্রেজা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। উল্লেখ্য, কালিয়াবীড় একটি ব্যস্ত রাস্তা। সেখানে বিকেল ৪টে নাগাদ গাড়ির রেস শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, ঘন্টায় ১০০-১৫০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছোটানো শুরু করেন হর্ষরাজ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এএসআই-পুত্র। দু'জন পথচারীকে পিষে মারেন তিনি। এরপর রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা দুই বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে আরও কিছুটা এগিয়ে উল্টে যায় তার গাড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম ভর্গাব ভট্ট (৩০) এবং চম্পাবেন বচানি (৬৫)। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। গত বছরেই বিয়ে করেছেন ভার্গব। কাজে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মধু সিলিকা কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। অন্যদিকে, আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী স্যার টি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান হর্ষরাজের বাবা অনুরুদ্ধ সিংহ বাজুভা গোহিল। পুত্রকে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন