
গুজরাটের ভডোদরার মহিসাগর নদীর উপর গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২১। নিখোঁজ এখনও এক জন। খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে সালফিউরিক অ্যাসিড ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার নদীতে পড়ে যাওয়ার ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধারকারীদের কয়েক জন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত নিহতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যায়নি। জানা গেছে, রাজনৈতিক কারণে নিহতদের শেষকৃত্যে বিলম্ব হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চাপের মুখে চার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা সরকারের মুখপাত্র ঋশিকেশ প্যাটেল ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে উদ্ধারকাজের গতিবিধি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি, স্থানীয় কর্মকর্তাদের তদন্ত ত্বরান্বিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বিরোধীরা সরাসরি পিডব্লিউডি এবং মুখ্যমন্ত্রী প্যাটেলকে দায়ী করেছেন। কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অমিত চাভদা অভিযোগ করেছেন, ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত সেতুটির মেয়াদ অতিক্রম হয়ে গিয়েছিল। যানবাহনের চাপে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্নীতি ও দীর্ঘস্থায়ী অবহেলার জন্য বিভাগকে অভিযুক্ত করে তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে পদ্ধতিগত ব্যর্থতার কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করে পদত্যাগের দাবি জানান। রাজ্যের এই বিপর্যয় রোধে মুখ্যমন্ত্রীর অক্ষম বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে গুজরাটের ভডোদরার পডরা তালুকের গম্ভীরা-মুজপুর সেতুর উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। আচমকাই সেতুর মাঝামাঝি অংশ ভেঙে পড়ে নীচের মহিসাগর বা মাহি নদীতে। গুজরাট সরকারের মুখপাত্র এবং মন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সেতু ভেঙে পড়ার পর কমপক্ষে পাঁচটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুসংবাদ পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে গুজরাত সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন