Goa: বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিতেই গোয়াতে এসেছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেসের

গত কয়েকদিনের গোয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কংগ্রেস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিজেদের দলে নিয়েছে তৃণমূল।
Goa: বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিতেই গোয়াতে এসেছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেসের
গ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on


গোয়ায় চার বছর কোথায় ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো, প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। গত চার বছরের তৃণমূলকে দেখা যায়নি। ছোট্ট রাজ্যে আবার দেখা যাচ্ছে, ঘাসফুল শিবিরের প্রতিনিধিদের। ইতিমধ্যে সেখান থেকে তদারকি করে ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনদিনের সফরে পা রেখেছেন তিনি।

তাঁর বক্তব্য, তিনি গোয়া দখল করতে বা মুখ্যমন্ত্রী হতে আসেননি। সে-রাজ্যের মানুষ সংকটে। তাই তিনি ছুটে এসেছেন। তাহলে তিনি কেন এসেছেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও কংগ্রেস সরাসরি অভিযোগ তুলেছে, বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে সরাসরি বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এই রাজ্যে আগমন তৃণমূলের।

গত কয়েকদিনের গোয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কংগ্রেস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিজেদের দলে নিয়েছে তৃণমূল। গতকাল মমতার উপস্থিতিতে লিয়েন্ডার পেজ এবং নাফিসা আলি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

তারপরই বহিরাগত তকমা ঝেড়ে ফেলতে তিনি বলেছেন, আমি তো গোয়ারই মেয়ে । এখানকার মানুষের বোনের মতো। ভারতবাসী হিসেবে আমি দেশের সর্বত্র যেতে পারি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি এখানে উন্নয়নের স্বার্থে আগেও এসেছি।

Goa: বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিতেই গোয়াতে এসেছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেসের
তৃণমূল গোয়াতে যদি সত্যি বিজেপিকে হারাতে চাইতো, তাহলে আগে কংগ্রেসের সাথে কথা বলতো - অধীর

গোয়ার সঙ্গে তিনি কতটা মিশে গিয়েছেন, তা বোঝাতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বাংলা আমার মাতৃভূমি, গোয়াও আমার মাতৃভূমি। গোয়ার সঙ্গে বাংলা মানুষের অনেক মিল । আপনারা বাঙালিদের মতো মাছ ভালোবাসেন। কিন্তু আপনারা সামুদ্রিক মাছ খান, যা শরীরের পক্ষে ভালো। আপনারাও বাঙালির মতো ফুটবল পাগল। লোকসংস্কৃতিও একই।

নিজেকে বিজেপি বিরোধী প্রমাণ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব কথা বলছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে বেশি আসন পেলে বিজেপি কী করে ক্ষমতায় এল। কংগ্রেস বিধায়কদের ধরে রাখতে পারেনি বলেই অবস্থা হয়েছে বলে অভিমত তাঁর।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in