

ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২১ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারীকরণের বিরোধিতা করে সোমবার (২৮ মার্চ) এবং মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দেশব্যাপী ধর্মঘট পালিত হবে দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কে৷ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে সোমবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে দু’দিনের ধর্মঘট। এই ধর্মঘটে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরাম।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন শনিবার ঘোষণা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করতে সমস্ত ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন দু’দিনের ধর্মঘট পালন করবে।
ব্যাঙ্ক ছাড়াও, অন্যান্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলোতেও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কগুলির সাথে তাদের সংহতি প্রদর্শন করতে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি রয়েছে। টেলিকম, তেল, আয়কর, ডাক, কয়লা, ইস্পাত, তামা এবং বীমা ক্ষেত্র এই ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নতুন নীতিগুলি তাদের শ্রমিক, কৃষক এবং জনগণকে প্রভাবিত করবে এবং এই নীতি প্রত্যাহার করা উচিৎ।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গ্রাহকদের জানিয়ে দিয়েছে যে ব্যাঙ্ক যেহেতু দু’দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে, তাই গ্রাহক পরিষেবা বিপর্যস্ত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে এটিএম পরিষেবা।
যদিও আরএসএস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘ বলেছে তারা এই ধর্মঘট সমর্থন করছে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, সমস্ত সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের এই আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
- with IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন