Uttar Pradesh: যোগীরাজ্যে ‘গায়ের জোরে’ বন্ধ করা হল বারাণসীর গান্ধীবাদী সংগঠনের দপ্তর

কাশী রেল স্টেশনের উত্তর প্রান্তের জিটি রোড সংলগ্ন উত্তর রেলের মালিকানাধীন জমি দখল করে ওই সংগঠন তৈরি হয়েছে।
অভিযান চালানোর পরে সংগঠনের দপ্তর
অভিযান চালানোর পরে সংগঠনের দপ্তরছবি সৌজন্য নিউজক্লিক

বারাণসীর এক গান্ধীবাদী সংগঠনকে সমূলে উৎখাত করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সর্ব সেবা সংঘ নামক ওই সংগঠনের জমিকে ভারতীয় রেলের জমি বলে দাবি করেই শনিবার সাত-সকালে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশাল বাহিনী সংগঠনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। এক লহমায় চাকরি ও আশ্রয় হারা হন ওই সংগঠনের ৫০-এরও বেশি কর্মচারী। বন্ধ হয়ে যায় সংগঠন পরিচালিত একটি স্কুলও। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শতাধিক স্থানীয় দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ।

গত ২৬ জুন স্থানীয় প্রশাসন জানায়, বারাণসীর গান্ধীবাদী সংগঠন সর্ব সেবা সংঘ ও তার কর্মী আবাসন যে ১২.৫ একর জমির উপর রয়েছে তা ভারতীয় রেলের সম্পত্তি। তারপরেই ওই সংগঠনের কর্মীদের প্রত্যেককে একটি নোটিশ পাঠায় উত্তর রেল। যেখানে তাঁরা দাবি করেছে, কাশী রেল স্টেশনের উত্তর প্রান্তের জিটি রোড সংলগ্ন উত্তর রেলের মালিকানাধীন জমি দখল করে ওই সংগঠন তৈরি হয়েছে। খুব স্পষ্ট ভাষায় ওই নোটিশে বলা হয়, “বারাণসীর জেলাশাসকের ২৬ জুনের চিঠি অনুযায়ী, উত্তর রেলের মালিকানাধীন জমি দখল করে বেআইনিভাবে তৈরি সর্ব সেবা সংঘকে ধ্বংসকরণের প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। সমস্ত জমি দখলকারীদের অবিলম্বে ওই জমি ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।”

স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও ভারতীয় রেলের এই নির্দেশ একেবারেই মেনে নিতে পারেননি ওই সংঘের সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সদস্যরা। তাঁরা ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। কিন্তু আদালত কোনও আবেদন শুনতে না চাইলে সংঘের কর্মী-সদস্যরা তাঁদের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যান। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতও উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও রেলের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করে জেলা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু জেলা আদালতেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।

ফলস্বরূপ, শনিবার সাত-সকালে প্রায় ৫০০ পুলিশকর্মীর বিশাল বাহিনী, র‍্যাপিড অ্যাকশন টিম ও ২০০ জন কর্মীকে নিয়ে সংঘের দরজায় তালা ঝোলাতে পৌঁছায় যোগীরাজ্যের প্রশাসন। কার্যত গায়ের জোরে গান্ধীবাদী ওই সংগঠন বন্ধ করে দিয়ে ফাঁকা করে দেওয়া হয় সংগঠনের কর্মী আবাসনও। সংগঠনের ৫০-এরও বেশি কর্মীকে একইসঙ্গে চাকরি ও আশ্রয় হারাতে হয়।

ওই জমিতেই সংগঠনের তরফে স্থানীয় দরিদ্র শিশুদের জন্য বিনামূল্যে একটি স্কুল চালানো হত যেখানে ৩ থেকে ১২ বছরের ১০০-এরও বেশি পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পড়ানো হত। সংগঠনের পাশাপাশি সেই স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই সংগঠনের নিজস্ব প্রকাশনার হাজার হাজার বইও।

- with inputs from NewsClick

অভিযান চালানোর পরে সংগঠনের দপ্তর
Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ও বিশদ আলোচনার দাবি - রাজ্যসভা থেকে বিরোধীদের ওয়াকআউট
অভিযান চালানোর পরে সংগঠনের দপ্তর
Sitaram Yechury: সমাজে অভিন্নতা আনার নাম করে মানুষকে ভাগ করতে চাইছে বিজেপি - ইয়েচুরি

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in