
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দেশে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকদিন আগে এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বয়সের ঊর্ধ্বসীমা কমে যাওয়ায় যে বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন দরকার, তার যোগান দিতে পারছে না টিকা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। ফলে রাজ্যগুলিতে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিনের আকাল। যে কারণে কমপক্ষে চারটি রাজ্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু সম্ভব নয়।
এই চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, পঞ্জাব এবং ঝাড়খন্ড। রাজস্থানে গেহলট সরকার করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড-এর প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কাছে ভ্যাকসিন কিনতে চেয়েছে। কিন্তু সংস্থা জানিয়েছে, ১৫ মে’র আগে টিকা পাঠাতে পারবে না তারা।
রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'আমরি সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে কথা বলেছিলাম। তারা জানিয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশমতো টিকা সরবরাহ করতে ১৫ মে পর্যন্ত সময় লাগবে।' তাঁর প্রশ্ন, 'রাজ্যগুলি সরাসরি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে চাইলে কী করে করবে? এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমাদের রাজ্যে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মোট সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লক্ষ। কীভাবে তাদের টিকাকরণ হবে?”
রাজ্যস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেককে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ দেওয়া উচিত টিকা সরবরাহের জন্য। টাকা দিতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, ছত্তিশগড়, পঞ্জাব এবং ঝাড়খন্ডেও একই অবস্থা। পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সিধু স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলে টিকা দেওয়া হবে কী করে। কেন্দ্র বলছে ভ্যাকসিন সবার জন্য রয়েছে। কিন্তু আসল ছবি এটাই। গোটা জাতি আজ বিপদের মুখে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন