
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদের সময় জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েন আইএএস অফিসার কান্নন গোপীনাথন। পরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। গোপীনাথনের বক্তব্য, কংগ্রেসেই একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি যারা দেশকে সঠিকভাবে চালনা করতে পারবে।
নয়াদিল্লিতে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গোপীনাথনের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল। উপস্থিত ছিলেন দলের মিডিয়া এবং প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরা, দলের নেতা কানহাইয়া কুমার, জিগনেশ মেওয়ানি এবং প্রাক্তন আইএএস থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা শশিকান্ত সেন্টিল।
এদিন গোপীনাথনকে দলে স্বাগত জানিয়ে ভেনুগোপাল বলেন, “দেশের প্রান্তিক ও বঞ্চিত মানুষের জন্য যিনি নির্ভীকভাবে কাজ করে গিয়েছেন, ন্যায় ও ঐক্যের পক্ষে লড়েছেন — তিনিই কানন গোপীনাথন। কেরালায় জন্ম তাঁর, কিন্তু কাজ করেছেন উত্তর-পূর্বসহ দেশের নানা প্রান্তে।”
তিনি আরও বলেন, “গোপীনাথনের কংগ্রেসে যোগদানই প্রমাণ করছে, ন্যায় ও আদর্শের পক্ষে আজও একমাত্র কংগ্রেস লড়ছে। ২০১৯ সালে তিনি চাকরি ছাড়লেও তাঁর পদত্যাগপত্র এখনও গ্রহণ করা হয়নি। ন্যায় ও নীতির পক্ষে কথা বলা আমলাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটা এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে স্পষ্ট। বিচারপতিও আজ এর বাইরে নন।”
কংগ্রেসে যোগদানের পর এদিন গোপীনাথন বলেন, “২০১৯ সালে যখন আমি পদত্যাগ করি, তখনই বুঝেছিলাম দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই সময় থেকেই আমি ঠিক করেছিলাম, এর বিরুদ্ধে লড়ব। এরপর প্রায় ৮০-৯০টি জেলার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি, নানা রাজনৈতিক নেতা ও সমাজকর্মীর সঙ্গে দেখা করেছি। শেষে উপলব্ধি করলাম, দেশের সঠিক পথে ফেরার নেতৃত্ব একমাত্র কংগ্রেসই দিতে পারে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন