

চলতি সপ্তাহেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হতে পারে। তার আগে আন্দোলনের আরও শক্তিবৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা, যার ছত্রছায়ায় কৃষক সংগঠনগুলি গত এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন দেখাচ্ছে।
'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতারা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে আরও কৃষকদের দিল্লিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
এই মাসের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, আদালতে বিষয়টি (তিন কৃষি আইনের প্রয়োগ) বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কৃষকদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার অধিকার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে বিক্ষোভরত ৪ কৃষক সহ আটজনের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে একথা বলেছিল আদালত। একটি কৃষক সংগঠন দিল্লির যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে একথা বলেছিল আদালত।
বিক্ষোভের অনুমতি না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে বলেছিল, আর কোনো কৃষক আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে না। কারণ লখিমপুরের মতো ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেছিলেন, "গতকাল লখিমপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আটজন মারা গেছেন। এইভাবে প্রতিবাদ হতে পারে না। যখন আইনে বিষয়টির মোকাবিলা করা হচ্ছে সেইসময় বিক্ষোভ চলতে পারে না। কোনো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এর পরিণতি হতে পারে।"
কেন্দ্রের কথাতেই কার্যত সম্মতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীদের বিক্ষোভের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল আদালত। কৃষকদের রাস্তায় নামার অধিকার আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল। এই সপ্তাহে তা নিয়ে নির্দেশ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন