তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যন্তরমন্তরে সত্যাগ্রহের অনুমতি চেয়ে অন্য এক কৃষক সংগঠন কিষাণ মহাপঞ্চায়েত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে,হাইওয়ে অবরোধ করে ও শহরের শ্বাসরুদ্ধ করে এখন বিক্ষোভকারীরা শহরের ভিতরে আসতে চাইছে। উল্লেখ্য, কিষাণ মহাপঞ্চায়েত নামক এই কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আন্দোলনের সঙ্গে নেই।
বিচারপতি এ এম খানুইলকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপনারা একই সঙ্গে আদালতে আসার পাশাপাশি বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে পারেন না। বেঞ্চ সংস্থার কৌসুলিকে জিজ্ঞেস করেন বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে কি না।
বিচারপতি সি টি রবিকুমারও এই বেঞ্চে আছেন। তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে প্রতীকী সত্যাগ্রহ করার অনুমতি চেয়ে করা কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের আবেদনের শুনানি হয় এই বেঞ্চে।
আবেদনে সত্যাগ্রহ করতে অনুমতির নির্দেশ চাওয়া হয়, যেমন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল। কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের কৌসুলি বেঞ্চকে জানান তাঁর মক্কেল দিল্লী পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল।
বেঞ্চ তাঁকে বলে আইনের বিরুদ্ধে আদালত-এর দ্বারস্থ হওয়ার পরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কী যুক্তি? যদি আপনাদের আদালতের প্রতি আস্থা থাকে, প্রতিবাদের বদলে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান।
বেঞ্চ কৌসুলিকে আরও বলেছে, বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাঁরা কোন সম্পত্তি নষ্ট করতে পারে না। এ জিনিস বন্ধ হওয়া উচিত।
কৃষক সংগঠনের কৌসুলি জানান, পুলিশ হাইওয়ে ব্লক করেছে এবং তাঁদের আটক করেছে। তাঁর মক্কেল হাইওয়ে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি।
বেঞ্চ জোরের সঙ্গে জানায় একবার যখন সংগঠন আদালতে এসেছে তখন বিক্ষোভের কোন কারণ নেই। যদি আপনারা বিক্ষোভ করতে চান, তাহলে আদালতে আসার দরকার নেই।
আদালত কৌসুলিকে লিখিতভাবে জানাতে বলেন যে তাঁর মক্কেল বিক্ষোভে অংশ নেয়নি। কৌসুলি তা দিতে সম্মত হন।
বেঞ্চ আবেদনের প্রতিলিপি এজি অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে ৪ অক্টোবর।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।