

কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। বুধবার থেকেই পাঞ্জাব হরিয়ানা সীমান্ত থেকে ফের দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের সাথে বৈঠক করে কেন্দ্র সরকারের তিন মন্ত্রী। বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) অড়হর, তুর, উরদ, তুলা এবং ভুট্টা কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের।
সোমবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে প্রেস কনফারেন্স করে কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানান, কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাব তাঁদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিবাদী কৃষকরা বুধবার থেকে শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লির দিকে তাঁদের পদযাত্রা শুরু করবেন।
আর এক কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়াল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, “সরকার রবিবার রাতে প্রস্তাবটি তৈরি করেছে। আমরা এটি বিষদে পড়েছি। দুটি বা তিনটি ফসলে MSP প্রয়োগ করা হবে, বাকি ফসলগুলি কৃষকদের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে। এরকম প্রস্তাবের কোনও মানে হয় না।“
তিনি আরও বলেন, “মাননীয় মন্ত্রী গতকাল বলেছিলেন সরকার যদি ডালের এমএসপির গ্যারান্টি দেয় তবে সরকারের অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রকাশ কামার্দির (প্রাক্তন এগ্রিকালচার প্রাইস কমিশন চেয়ারম্যান) একটি সমীক্ষা অনুযায়ী সমস্ত ফসলের উপর এমএসপি লাগু করলে সরকারের ১.৭৫ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে। সরকার পাম তেল আমদানি করতে ১.৭৫ লাখ কোোটি টাকা ব্যয় করে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এই একই পরিমাণ অর্থ কৃষকদের তৈলবীজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে ব্যয় করা যেতে পারে।“
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন