

কৃষক আন্দোলনের সমাপ্তি নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এবার এমনই অভিযোগ করল কৃষক সংগঠনের আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৭ ডিসেম্বরে আন্দোলন শেষ হচ্ছে না। কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিলেও এখনও অনেক দাবি বকেয়া রয়েছে। যতক্ষণ না সেই দাবি পূরণ হচ্ছে, বা দাবি পূরণে ইতিবাচক কোনও বার্তা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মিলছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলনে শামিল হবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিয়ে ব্যাক ডোর দিয়ে বাছাই করা কৃষক নেতাদের ফোন করে বোঝানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এমন অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। রবিবার সারা ভারত কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘কৃষকরা নিজেদের শখ পূরণে গত এক বছর ধরে রাস্তায় বসে নেই। সরকার দাবি মানুক অথবা দাবিপূরণের ইতিবাচক বার্তা দিতে আলোচনায় বসুক। তার প্রেক্ষিতেই আন্দোলনকারীরাও পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু সরকার আগে বকেয়া দাবি পূরণ না করলে সীমানা ছাড়ার প্রশ্ন নেই। বিভিন্ন রাজ্যেও আন্দোলন চলবে।'
কিষান মোর্চা জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা, রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুর, মধ্যপ্রদেশের সিওনি ও মধ্যপ্রদেশেরই রেওয়াতে আন্দোলন চলছে কৃষকদের। আন্দোলন চলতে থাকবে। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই কমিটির কোনও সদস্যর সঙ্গেই কেন্দ্র যোগাযোগ করেনি। এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে, গত ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছিল। উত্তর মেলেনি। মোর্চার আশা, আগামী দু’দিনের মধ্যে সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করবে।
এদিকে, মঙ্গলবার সিঙ্ঘু সীমানায় ফের বৈঠক ডেকেছে কিষান মোর্চা। সেখানে তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন