

কেন্দ্রের লাগু করা নতুন তিন কৃষি আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের আদিবাসীরাও। প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীরাও এই তিন কৃষি আইনের ফলে বন অধিকার আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই আইনের ফলে কৃষি বাজারের উপর প্রভাব পড়তে চলেছে, যার প্রভাব পরোক্ষভাবে গিয়ে পড়ছে এইসব আদিবাসী কৃষকদের উপর।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এইসব আদিবাসী কৃষকদের স্বার্থে সরাসরি আঘাত হানতে চলেছে এই তিন কৃষি আইন। পঞ্চম তপসিল অনুসারে, আদিবাসী জনগোষ্ঠী মূলত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে গঠিত। এই আদিবাসীদের এমনিতেই নিজেদের ফসল নিয়ে দর কষাকষির ক্ষমতা কম থাকে। তারওপর এই নতুন তিনটি আইন তাদের ক্ষমতা আরও কমিয়ে দেবে।
অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন অফ ফরেস্ট ওয়ার্কিং পিপল-এর রজনীশ গম্ভীর জানিয়েছেন, আদিবাসী কৃষকরা মূলত জঙ্গল ও কৃষিজাত দ্রব্যাদির উপরই নির্ভর করে জীবন-জীবিকা চালায়। কিন্তু নতুন এই কৃষি আইনগুলোর ফলে তারাও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। তাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও এই তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে।
তাঁদের মতে এটি দ্বিমুখী আক্রমণ শানানো হচ্ছে। প্রথমত, জমি অধিকার তাদের কাছে থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, এবং দ্বিতীয়ত, কৃষকদের আরও দরিদ্রতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ফসল উৎপাদনের ধারা বদল হওয়ার কারণে ঋণের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনিতেই তারা ঋণে জর্জরিত, তারওপর এই নতুন আইন তাদের আরও অসহায় করে দিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন