

সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার লোভে পুনরায় বিয়ে করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পাত্র-পাত্রী। এই ঘটনায় এক সরকারি আধিকারিক সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মানিয়ার ইন্টার কলেজে। গত ২৫ জানুয়ারি সরকারি প্রকল্পের অধীনে গণবিবাহের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে একাধিক পাত্র-পাত্রী বিয়ে করতে যান। ওই অনুষ্ঠানেই একাধিক ভুয়ো বর-কনেও ছিলেন। যাঁরা আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সকলকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় সমাজকল্যাণ দপ্তরের এক আধিকারিক সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। বুধবার মানিয়ার এস এইচ ও মনতোষ সিং বলেন, আধিকারিক সুনীল কুমার যাদব এবং আট উপভোক্তা অর্চনা, রঞ্জনা যাদব, সুমন চৌহান, প্রিয়াঙ্কা, সোনম, পূজা, সঞ্জু এবং রমিতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি প্রধান উন্নয়ন আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সাধারণত সমাজে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা যুবক-যুবতীদের বিবাহের জন্য সরকার গণবিবাহ প্রকল্প চালু করেছে। যার মাধ্যমে ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ৫১ হাজারের মধ্যে পাত্রী পান ৩৫ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকা খরচ হয় বিবাহের সামগ্রী কিনতে এবং বাকি ৬ হাজার খরচ হয় অনুষ্ঠানের জন্য। সেই অর্থের লোভেই অভিযুক্তরা নিজেদের তথ্য গোপন করে গণবিবাহে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন।
আর এই ঘটনায় বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, অর্থের লোভ দেখিয়ে যুবকদের ভুয়ো বর সাজিয়ে রাজ্যের মেয়েদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বিজেপি। নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন