
কেরালার উপনির্বাচনে পিভি আনবারের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন বাতিল করে দিল নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনে লড়তে পারবেন তিনি। কমিশন সূত্রের খবর, নির্দল প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে।
কেরালার নিলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রাক্তন বিধায়ক পিভি আনবারকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সোমবার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন প্রাক্তন বিধায়ক। এদিন জোড়া মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন তিনি। একটি তৃণমূলের হয়ে এবং অন্যটি নির্দলের। মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন বাতিল হলেও, নির্দল প্রার্থী হিসেবে গৃহীত হয়েছে মনোনয়ন। এর আগেও নির্দল হিসেবেই তিনি বিধায়ক হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার কমিশনের ওয়েবসাইটে আনবারকে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। স্ক্রুটিনিপর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে প্রতীক দেবে কমিশন। জানা গেছে, যেহেতু তৃণমূল কেরালার নিবন্ধিত দল নয় এবং জাতীয় দলের স্বীকৃতিও নেই তাদের কাছে, যার ফলে আনবারের মনোনয়ন বাতিল করেছে কমিশন। তবে যেহেতু আনবার নির্দল প্রার্থী, তাই নিজেদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থনের সুযোগ থাকছে তৃণমূলের কাছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়েছিল তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর ও ত্রিপুরায় রাজ্য-স্বীকৃত রাজনৈতিক দল থাকার কারণে এই স্বীকৃতি পায়। কিন্তু ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল জাতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে দলটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা পাওয়ার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সেই তকমা হারিয়েছিল দলটি।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়। এক, লোকসভায় অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দুই, লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন (মোট আসনের ২ শতাংশ) জিততে হবে এবং আগের জেতা আসনের অন্তত ৪টি পুনরায় জিততে হবে। তিন, অন্তত ৪টি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মণিপুরে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। ফলে প্রথম শর্ত পূরণ করে তারা।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ জুন সারাদেশের বেশ কয়েকটি বিধানসভার সঙ্গে নিলাম্বুর কেন্দ্রেও রয়েছে উপনির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ২৩ জুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন