এসেনশিয়াল ডিফেন্স সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্স ২০২১-এর প্রতিবাদে ২৩ জুলাই দেশজুড়ে প্রতিবাদসভার আয়োজন করেছিল। গত মাসে কেন্দ্র এই অর্ডিন্যান্সটি এনেছিল। এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্তরকম প্রতিবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে কেন্দ্র।
চলতি বছরের ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অর্ডিন্যান্সটির কথা ঘোষণা করেন। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেই মূলত অর্ডিন্যান্সটি আনা হয়। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কাজের সঙ্গে যুক্ত সবরকমের কর্মীদের ধর্মঘট থেকে বিরত রাখতেই মোদির নেতৃত্বের কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডিন্যান্সটি নিয়ে এসেছে।
ধর্মঘটের ফলে যাতে কোনওরকমভাবে কাজ আটকে না থাকে, সেজন্য প্রয়োজনে পুলিশবলকেও কাজে লাগাতে পারবে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই অর্ডিন্যান্সটি ৬ মাসের জন্য প্রথমে প্রয়োগ করা হবে। পরে ইচ্ছামত এর সময়সীমা বাড়িয়ে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি বিলও সংসদে পেশ করা হয়।এরপরই শুক্রবার সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের অধিনে থাকা কর্মীরা এই অর্ডিন্যান্সটি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ দেখান। অর্ডিন্যান্সটিতে নানা ধরনের বর্বরোচিত শাস্তির ধারা রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। যা ধর্মঘটে যাওয়ার আইনি অধিকার কর্মীদের থেকে কেড়ে নিতে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রাজস্থান, পঞ্জাব, ছত্তিশগড় এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোতে সরকারি কর্মচারিরাও এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় প্রতিবাদ ধর্মঘটে সামিল হন। অন্যদিকে, রাজধানীতে যন্তরমন্তরের সামনে 'কিষান সংসদ'-এর সামনে প্রতিবাদে বসেন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।