
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে ফের কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে আগামী ২৩ জুন হাজিরা দিতে হবে সনিয়াকে।
এর আগে গত ১ জুন সনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠিয়ে ৮ জুন হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। কিন্তু ২ জুন করোনা আক্রান্ত হন সনিয়া গান্ধী। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে হোম আইসোলেশনে রেখেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ইডিকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, সুস্থ হলেই হাজিরা দেবেন। তবে কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর এ সপ্তাহের শুরুতে ইডিকে চিঠি দিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এরপরই ২৩ জুন হাজিরা দেওয়ার জন্য নতুন করে নোটিশ পাঠায় ইডি।
অন্যদিকে দেশে না থাকার কারণে রাহুল গান্ধীও ইডির কাছে কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন। তাঁকে আগামী ১৩ জুন দিল্লীতে ইডির সদর দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি প্রধানত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত এবং ইয়াং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন। ১৯৩৮ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জওহরলাল নেহরু এই সংবাদপত্রটির প্রতিষ্ঠা এবং সম্পাদনা করেছিলেন।
২০০৮ সালে ৯০ কোটির বেশি টাকা ঋণের কারণে এই সংবাদপত্রটি তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর ২০১১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি গঠন করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ যাঁর ৭৬ শতাংশ অংশীদারি কংগ্রেস সভানেত্রী এবং তাঁর পুত্র রাহুলের৷ এর সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণিয়াম স্বামী৷ পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া একটি অলাভজনক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেয় ইডি৷ বর্তমানে এই মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন রাহুল ও সোনিয়া।
আদালতের নথি অনুসারে, কংগ্রেস প্রধানত বিনা সুদের ভিত্তিতে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডকে অর্থ ধার দিয়েছিল। তবে কংগ্রেস দাবি করেছে যে, তাদের মধ্যে কোনও আর্থিক আদান-প্রদান ছিল না এবং বেতনের মতো বকেয়া পরিশোধের জন্য ঋণকে ইক্যুইটিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন