

বিরোধী জোট I-N-D-I-A কে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। মণিপুর ইস্যুতে সংসদে আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিরোধী সাংসদদের তুমুল বিক্ষোভের মাঝেই এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই 'কটুক্তি'কে গুরুত্বই দিচ্ছে না বিরোধীরা।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে একসাথে হাত মিলিয়েছে ২৬টি বিরোধী দল। এই জোটের সম্মিলিত নাম রাখা হয়েছে I-N-D-I-A (Indian National Developmental Inclusive Alliance)। সংসদে বাদল অধিবেশনে মণিপুর ইস্যুতে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন I-N-D-I-A-র সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই ব্যাকফুটে বিজেপি শিবির। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটকে নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
মণিপুর ইস্যুতে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি I-N-D-I-A জোটকে 'দিশাহীন জোট' বলে কটাক্ষ করেছেন। জঙ্গিগোষ্ঠী "ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন" এবং মৌলবাদী সংগঠন "পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া" এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই গোষ্ঠীগুলিতেও 'ইন্ডিয়া' শব্দটি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, "জোটের নাম ইন্ডিয়া রেখে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের প্রশংসা করছে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া - এগুলোতেও ইন্ডিয়া রয়েছে। ইন্ডিয়া নাম ব্যবহার করলেই কিছু হয় না। এভাবে শুধু দেশের নাম ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।"
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের 'পরাজিত', 'ক্লান্ত', 'হোপলেস' বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের একটাই এজেন্ডা - 'মোদী বিরোধিতা'।
তবে মোদীর এই মন্তব্যকে পাত্তা দিতে চাইছে না বিরোধীরা। বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "১৩৮ বছরের পুরনো দল কংগ্রেস। তখন বিজেপির নাম-গন্ধ ছিল না, বিজেপির জন্মই হয়নি। সেই দলকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে তুলনা বিরোধী জোটকে! এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েই ইন্দিরা গান্ধীজি কে প্রাণ দিতে হয়েছে, রাজীব গান্ধীজি কে প্রাণ দিতে হয়েছে। আসলে মণিপুর নিয়ে আলোচনার কথা বলতেই ভয়ে কাঁপতে শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওনার এই কটুক্তিতে কিছু এসে যায় না।"
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তার মানে জোট কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও ভাবছেন, আমার সময় হয়ে এল।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন