Gujarat: পানীয় জলের সমস্যা, জরাজীর্ণ স্কুল - গুজরাটে বিধানসভা ভোট বয়কটের হুমকি গ্রামবাসীদের

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্পোরেশন তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে গ্রামের লোকজন পোস্টার ও হোর্ডিং সাঁটিয়েছে।
ভোট বয়কটের হোর্ডিং
ভোট বয়কটের হোর্ডিংছবি - ট্যুইটার
Published on

গুজরাটের (Gujarat) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নানা চিলোদার (Nana Chiloda) বাসিন্দারা। জানা যাচ্ছে, সরকারী উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা।

দুই বছর আগে, আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে (AMC)-র যুক্ত হয় নানা চিলোদা গ্রাম। কিন্তু, তারপর কোনও উন্নয়ন হয়নি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্পোরেশন তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে গ্রামের লোকজন পোস্টার ও হোর্ডিং সাঁটিয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা রাহুল ঠাকুর জানান, 'গত দুই বছর থেকে গ্রামবাসীরা পানীয় জল চেয়ে আসছে। স্কুলের ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায়, নতুন বিল্ডিংয়ের দাবি করা হয়েছে। নিকাশির জন্য ড্রেনেজ লাইন চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দাবিগুলির একটিও পূরণ করেনি কর্পোরেশন। তাই, সর্বসম্মতিক্রমে বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামবাসীরা। কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা-কর্মীদের এখানে প্রচার করতে দেওয়া হবে না।'

তিনি অভিযোগ করেন, বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাসরুম অভাব রয়েছে। বাধ্য হয়ে দুই-তিন শ্রেণির প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে বসতে বাধ্য হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের জন্য টেন্ডার পাস ও চুক্তিপত্র বরাদ্দ হলেও দুই বছর পার হলেও কাজ শুরু হয়নি।

ঠাকুর বলেন, 'এটা পুরো গ্রামের সিদ্ধান্ত যে, মৌলিক সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কোনও প্রার্থীকে ভোট দেবো না।'

এমনকি, সর্দারনগর এলাকার কর্পোরেটর চন্দ্রপ্রকাশ খানচান্দানি স্বীকার করেছেন, 'সাত থেকে আট মাস আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বিল্ডিং চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তাই স্কুল ভবনের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তবে, ড্রেনেজের কাজ চলছে।'

ভোট বয়কটের হোর্ডিং
Congress: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে খাড়গেকে জয়ী করার আবেদন তৃণমূল নেতার - রাজনৈতিক মহলে জল্পনা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in