‘কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলেও সরকারের উদ্দেশ্য কখনও খারাপ ছিল না’ - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফাই

শাহ বলেন, ‘সমালোচকরাও মেনে নেবেন যে, গত সাত বছরে দেশে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহফাইল ছবি
Published on

ক্ষমতায় থেকে কেন্দ্র হয়তো কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্য কখনওই খারাপ ছিল না। দেশের এবং দেশবাসীর ভালো যাতে হবে, যেভাবে হবে, সেটাই বরাবর কেন্দ্র ভেবেছে। আত্মসমীক্ষা করতে গিয়ে এভাবে সাফাই গাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

গতবছর কেন্দ্র কৃষকস্বার্থ বিরোধী তিনটি কৃষি আইন লাগু করে। সেই আইনের প্রতিবাদে ও প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা গত নভেম্বর মাস থেকে টানা দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এবছর নভেম্বর মাসে কেন্দ্র জানায়, ওই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনও পাশ হয়েছে। দীর্ঘ একবছর ধরে চলা আন্দোলনের জেরে কেন্দ্রের নতজানু হওয়ায় কৃষকরা যেমন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, পাশাপাশি বিরোধীরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে।

কৃষক আন্দোলনের সাফল্যকে সামনে রেখে কয়েকটি সংগঠন ও গোষ্ঠী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরুর কথা ভাবছে। এই আবহে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) ৯৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বলেন, ‘সমালোচকরাও মেনে নেবেন যে, গত সাত বছরে দেশে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই।'

তাঁর কথায়, কোভিড মহামারির সময়েও সরকারের কয়েকটি নীতিগত সিদ্ধান্ত দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর সেই প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভারত বিশ্বের সবথেকে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ডবল ডিজিটের হলে আমি অবাক হব না।’

শাহ মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বলেন, ‘আমরা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগেগুলির পাশে না দাঁড়ালে, শক্তি না দিলে বেকারত্বের সমাধান মিলবে না।’

প্রসঙ্গত, অতিমারির জেরে প্রতি ১০০টিতে ন'টি হিসেবে প্রায় ৫৭ লক্ষ ছোট-মাঝারি সংস্থার শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংসদে রাহুল গান্ধী এবিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার প্রেক্ষিতে একথা স্বীকারও করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছোট-মাঝারি শিল্প মন্ত্রক। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০-তে ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে কতজন ছোট-মাঝারি শিল্প ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন, সে তথ্য সরকারের কাছে নেই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
রিলায়েন্সের টেন্ডার বাতিল করে রাজ্য সরকারের সংস্থাকে দিয়েছিলাম, ২০০০ কোটি সাশ্রয় হয়েছিল - গড়কড়ি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in