দিল্লিতে কংগ্রেস কার্যালয়ের মধ্যে ঢুকে কর্মীদের উপর অত্যাচার পুলিশের। এমনটাই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি নিজেদেরকে পরাধীন বলেও দাবি করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জেরা করছে ইডি। সোমবার ও মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার রাহুলকে ডেকে পাঠায় ইডি। কংগ্রেস নেতাকে জেরার প্রতিবাদে দলীয় নেতা কর্মীরা রাজধানীতে দুদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিজেপির পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের ভিতর ঢুকে কর্মীদেরকে মারধর করে বলেই সাংসদের অভিযোগ। তিনি পুলিশি অত্যাচারকে গণতন্ত্রের হত্যা বলে চিহ্নিত করেন।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ, অজয় মাকেন, ভূপেশ বাঘেল, কে সি বেণুগোপাল অধীর চৌধুরী সহ আরও অনেকে দলীয় সদর দফতরের সামনে সত্যাগ্রহ কর্মসূচি পালন করছেন।
মুর্শিদাবাদের সাংসদ বলেন, পুলিশ আমাদের কার্যালয়ে ঢুকেছে। এরপরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার চালাবে। এটা কার্যত গণতন্ত্রের হত্যা। দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের দিল্লির সদর দফতরে ঢুকে মোদী-শাহের পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে। কংগ্রেস অফিসের নথিপত্র তছনছ করছে। ধরপাকড় করছে দলের সাধারণ নিরপরাধ কর্মীদের, এ কোন ভারত? স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও আমরা পরাধীন! পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ করেন, পুলিশ কংগ্রেস কার্যালয়ে সমস্ত গেট বন্ধ রেখেছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে ইডি দফতরের সামনেও কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। টায়ার জ্বালিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ জানান। যার জেরে বেশকিছুক্ষন যানজট হয় রাজধানীতে। দলের বহু নেতা কর্মীকে আটকও করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, এর আগে গত দুদিন ধরে প্রায় ১৮ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। তিন সদস্যের একটি দল তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করছে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়। সোমবার রাত ১১.৪৫ পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হয় এবং তারপর তিনি ইডি সদর দফতর থেকে বেরোন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।