
সপ্তাহের শুরুতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের চার প্রান্ত। রাজধানী দিল্লি, বিহার, ওড়িশার পুরী এবং সিকিমের লাচুঙে সোমবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত চার রাজ্য থেকেই কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। সকাল সকাল ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
সোমবার ভোর ৫ টা বেজে ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে দিল্লি ও সংলগ্ন নয়ডা, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রামের বিভিন্ন এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফোর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। স্থানীয়দের দাবি, কম্পনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায় দিল্লির ভূমিকম্পের উৎসস্থল মাটির মাত্র পাঁচ কিলোমিটার নীচে। মনে করা হচ্ছে, উৎসস্থলের গভীরতা কম থাকার জন্যই কম্পনের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে। এছাড়া কাছাকাছি একটি লেক থাকায় কম্পন আরও বেশি মাত্রায় অনুভূত হয়েছে।
সোমবার ভোরে কম্পন অনুভূত হতেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সমাজ মাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমে ভূমিকম্পের তীব্রতা সকলে নিজের মতো বর্ণনা করেছেন। দিল্লির এক বাসিন্দা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “এটা ৪? আরও বেশি মাত্রার কম্পন বলে মনে হল। বাড়ির উপরের তলায় থাকলে বেশি কম্পন টের পাওয়া যায় নাকি?” আর এক জন লেখেন, “প্রচণ্ড জোরে ভূমিকম্প হল। মনে হল যেন, ঘরের নিচ দিয়ে গরজিলা হেঁটে যাচ্ছে”।
সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সমাজমাধ্যমে সকলকে সতর্ক করে পোষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, “দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফটারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ”।
দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর কেঁপে ওঠে বিহারের সিওয়ান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সে রাজ্যের কম্পনের মাত্রাও ছিল ৪। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ৮ টা ২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় বিহারে। আতঙ্কের জেরে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। যদিও এখনও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
অন্যদিকে, দিল্লি ও বিহারের পর কম্পন অনুভূত হয় ওড়িশার পুরীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং সিকিমের লাচুঙে। পুরীতে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৭ এবং লাচুঙে ছিল ২.৩। দুই রাজ্যের কোথাও মেলেনি হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন