দিল্লির হিন্দু রাও হাসপাতালের চিকিত্সকরা গত তিন মাস ধরে তাদের বকেয়া বেতন এবং ডিএ পরিশোধ না করায় আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত এই হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তারদের গত তিন মাস ধরে বেতন দেওয়া হয়নি।
হাসপাতালের নার্সরা ইতিমধ্যেই বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেছেন এবং বেতনের সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার থেকে অর্ধদিবস কাজ করছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাচ্ছে নার্সেস ইউনিয়ন।
এর আগে, রেসিডেন্ট ডক্টর’স অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ) ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেবার দাবিতে ১১ নভেম্বর থেকে পেন-ডাউন ধর্মঘটের ঘোষণা করেছিল। যদিও মেডিক্যাল সুপারের আশ্বাসের পর এবং ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে চিকিৎসকরা ধর্মঘট স্থগিত রেখেছেন।
আরডিএ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা MSA-কে একটি নতুন চিঠিতে আগামী ১৫, ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর সকাল ৯ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পেন ডাউন ধর্মঘট এবং ১৪ নভেম্বরের সন্ধ্যার মধ্যে বকেয়া বেতন এবং ডিএ মিটিয়ে না দিলে আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এর আগে, মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের কাছে এক চিঠিতে, আরডিএ চিকিত্সকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, "যদি চিকিৎসকদের বকেয়া বেতন এবং ডিএ ১৪ নভেম্বর বা তার আগের মধ্যে মিটিয়ে না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পেন-ডাউন ধর্মঘটের পথে যাবে চিকিৎসক সংগঠন। সকাল ৯ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই ধর্মঘটে অংশ নেবেন চিকিৎসকরা এবং দুর্ভাগ্যবশত আগামী ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবে সংগঠন।"
চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল প্রশাসনের মধ্যে চলমান বিবাদের কারণে হাসপাতালের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং বহু সংখ্যক অস্ত্রোপচার বাতিল করা হয়েছে।
বর্তমানে এমসিডি-চালিত ৯৮০ শয্যার হিন্দু রাও হাসপাতালে নার্সদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে এবং চিকিৎসকদের জন্যও প্রচুর সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে। যে শূন্যপদ এখনও পূরণ করা হয়নি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।