

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই মমতা ব্যানার্জি এবং অধীর চৌধুরীর একে অন্যকে আক্রমণ করা যেন থামছেই না। এবার তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার সামনে অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা ব্যানার্জি যা বলছেন তা নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশেই বলছেন। মমতা ব্যানার্জি এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে দিদি আর মোদীর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তির একটাই লক্ষ্য, কীভাবে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর ছবি ও ভাবমূর্তিকে ধূলিসাৎ করা যায়।
তিনি এও বলেন, যখন নরেন্দ্র মোদী আওয়াজ তুলেছিলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত বলে, সেই সময় মমতা ব্যানার্জি ঠিক পথেই ছিলেন। কিন্তু ভাইপোকে ইডি ডেকে পাঠানোর পর থেকেই মমতা ব্যানার্জির রাস্তা পরিবর্তন হয়ে গেল। উনি এখন ইডি আর সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে চাইছেন। তাই জন্য কংগ্রেসের বিরোধিতা করছেন। কংগ্রেসের বিরোধিতা করলে মোদী খুশি হবে।
রবিবার মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীকে নেতা বানানোর জন্য বিজেপি সংসদ চালাতে দিচ্ছে না। রাহুল গান্ধী আসলে মোদীর লোক। রাহুল গান্ধী নেতা থাকলে মোদীকে কেউ কোনোদিন হারাতে পারবে না। নরেন্দ্র মোদীর সবথেকে বড় টিআরপি হল রাহুল গান্ধী। এছাড়াও ওইদিন তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে অনৈতিক লড়াই হয়েছে। লোকটা কার? বিজেপির। প্রার্থী দিল কংগ্রেস। সমর্থন করলো সিপিআইএম। আরএসএস-সিপিআইমের সাথে পরিকল্পনা করে সাগরদিঘিতে ভোট করেছেন অধীর চৌধুরী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন