
মন্দিরে গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে উস্কানিমুলক মন্তব্য করায় সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক হরিশ পুঞ্জ। তবে এক সপ্তাহ পর, এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি লিখেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার থেক্কারুর এক মন্দিরে। অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক হরিশ পুঞ্জ বেলথানগড়ি নির্বাচনী এলাকার দু'বারের বিধায়ক।
গোপালকৃষ্ণ ভত্রাবেইল দেবরাগুড্ডে সেবা ট্রাস্টের অধীনে থেক্কারু মন্দির কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গ্রামের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর মন্দিরের প্রতিনিধিরা গ্রামের মুসলিম ওক্কুটাকে চিঠি লিখে জানান, বিধায়ক হরিশ পুঞ্জের কথা গ্রামের কিছু সদস্যকে আঘাত করেছে।
গত ৭ মে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চিঠি লিখে জানানো হয়, “বিধায়কের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে মন্দির কমিটি। কমিটি আপনাদের সম্প্রদায়ের সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়। ভবিষ্যতেও, আমরা আশা করব সমস্ত সম্প্রদায় একে অপরের সাথে সহযোগিতা করে জীবনযাপন করবে”।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে বিজেপি বিধায়ক হরিশ পুঞ্জ মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে গ্রামের মুসলিম বাসিন্দাদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আপত্তি জানান। মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানোতেও তাঁর আপত্তি রয়েছে। পুঞ্জকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হল সকলকে সম্প্রীতির কথা বলে একত্রিত করা। মসজিদে গিয়ে নিমন্ত্রণ জানানোর কি দরকার ছিল? যেহেতু আপনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাই তারা টিউবলাইট ভেঙে ফেলেছে। আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ কাজ করা উচিত নয়। আমরা হিন্দু এবং তাই থাকা উচিত”।
বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন