

কেরলের বালুসারি কেন্দ্রের বিধায়ক কে.এম. শচীন দেব তিরুবনন্তপুরমের মেয়র আর্য রাজেন্দ্রনকে বিয়ে করতে চলেছেন। আর্য রাজেন্দ্রন, যিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে তিরুবনন্তপুরমের মেয়র হন। সারা দেশের মধ্যে ‘সর্বকনিষ্ঠ মেয়র’ তিনিই। অন্যদিকে, ২৮ বছর বয়সী শচীন দেব, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী ও চলচ্চিত্র তারকা ধর্মজান বোলঘট্টিকে পরাজিত করে কোঝিকোড় জেলার বালুসেরি আসন থেকে জিতেছেন। বর্তমানে তিনি এসএফআই (SFI)-র সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক।
দুই সিপিআই(এম) নেতা-নেত্রীর বিয়ের খবর প্রথম প্রকাশ করেছেন শচীন দেবের বাবা কে এম নন্দকুমার। ইতিমধ্যেই দুই পরিবারের সদস্যরা বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরের মাসেই বিয়ে হতে চলেছে, যদিও সঠিক তারিখ এখনও জানা যায়নি।
ছাত্রজীবন থেকে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) –র সদস্য শচীন ও আর্য। সেই সূত্রেই আলাপ দুজনের। শচীন দেব কোঝিকোড়ের নেলিকোডের বাসিন্দা। এসএফআই সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদকের পাশাপাশি শচীন সিপিএম কোঝিকোড় জেলা কমিটিরও সদস্য। একজন আইন স্নাতক। শচীন দেব যখন বালুসেরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তখন আর্য রাজেন্দ্রন তারকা প্রচারক হিসেবে এসেছিলেন।
কেরল সিপিআই(এম)-এ এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বহু কিংবদন্তি নেতা তাঁদের জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছিলেন পার্টির মধ্যেই। এই তালিকায় আছেন - কেরলের প্রবাদপ্রতিম বাম নেতা এ.কে. গোপালন (লোকসভার প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা) এবং সুশীলা গোপালন, টি ভি থমাস এবং কে আর গৌরি, বর্তমান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি. শিভানকুট্টি এবং পার্বতী, প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্য এ. বিজয়রাঘবন এবং রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কে. বিন্ধু। সম্প্রতি কেরলের পর্যটন মন্ত্রী পি.এ মহম্মদ রিয়াসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মেয়ে বীনা বিজয়নের বিয়ে হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন