

আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে সরব হলেন CPI(M) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের দিন তিনি বন সংরক্ষণ আইনের সংশোধিত ধারা বাতিলের আবেদন জানান।
আদিবাসী ও অরণ্যের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক আছে। কিন্তু কেন্দ্রের কিছু পদক্ষেপে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। এবার সুর চড়ালেন সীতারাম ইয়েচুরি। মঙ্গলবার ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘মোদী সরকারকে বন সংরক্ষণ আইনের অধীনে সংশোধিত ধারাগুলি প্রত্যাহার করতে হবে। এই ধারাগুলি অরণ্য বিনাশের পথকে প্রশস্ত করে। এর সাথে অবৈধ খননকার্য চালিয়ে থেকে মুনাফা অর্জনকারীদের সাহায্য করে দেওয়া হচ্ছে। যা আমাদের আদিবাসীদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে ক্ষুণ্ণ করছে এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করবে’।
প্রসঙ্গত, এর আগে CPI(M) পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত এই সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদবকে একটি চিঠিও লেখেন। তাতে দেখা যায় তিনি লেখেন আইন সংশোধন করার আগে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো উচিত ছিল। আদিবাসী মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিয়েই সংশোধন করা দরকার।
তিনি বলেন, নতুন নিয়মগুলি কার্যত কর্পোরেটদের জন্যই বানানো হয়েছে। সুদূর ভবিষ্যতে বেসরকারী সংস্থার অধীনে চলে যাবে বনগুলি। বিলটি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বন সংরক্ষণের বদলে বন কর্পোরেট আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইন বাতিল করে ভারত সরকারের উচিত সৎভাবে নতুন বিল আনা।
উল্লেখ্য, ২৮ জুন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বন সংরক্ষণ আইন সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আইন সংশোধন অনুসারে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বন কাটার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আদিবাসীদের অনুমতি ছাড়াই তা করতে পারবে। বিরোধীদের দাবি, অরণ্য অধিকার আইনকে খর্ব করছে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন