CPIM: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে - পলিটব্যুরো

People's Reporter: সিপিআইএম জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসন ইসলামী মৌলবাদী শক্তির কার্যকলাপকে সম্ভবত উপেক্ষা করছে। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন মসজিদকে মন্দির বলে দাবি করা মামলা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং দেশের বিভিন্ন মসজিদের বিষয়ে দাখিল হওয়া ক্রমবর্ধমান মামলা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করলো সিপিআইএম পলিটব্যুরো। নয়াদিল্লীতে ৭ এবং ৮ ডিসেম্বরের পলিটব্যুরো বৈঠকের শেষে এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। সিপিআইএম জানিয়েছে, লাগাতার এই ধরণের মামলা করা হলেও সুপ্রিম কোর্ট তাতে রাশ টানার জন্য হস্তক্ষেপ করছে না।

৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই বিবৃতিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএম জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রশাসনকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বিবৃতিতে সিপিআইএম খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসন ইসলামী মৌলবাদী শক্তির কার্যকলাপকে সম্ভবত উপেক্ষা করছে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বিজেপি-আরএসএস ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর উস্কানিমূলক ও আগুন জ্বালানোর মতো প্রচারেরও নিন্দা করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থের জন্য সহায়ক হবে না। পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে সব ধরণের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে নামতে হবে। সীমান্তের দু‘পারে জনসাধারণের স্বার্থের জন্য সব ধরণের সাম্প্রদায়িকতাই ক্ষতিকর। 

বিবৃতিতে সিপিআইএম জানিয়েছে, বারাণসী এবং মথুরার পর, সম্ভলে ষোড়শ শতাব্দীর এক মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশ এক নিম্ন আদালত। যার ফলে ওই অঞ্চলে হিংসা ছড়ায় এবং চার মুসলিম যুবকের মৃত্যু হয়। এরপরে আজমীড়ের সিভিল কোর্টে আজমীর শরীফ দরগা নিয়ে একই ধরণের এক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।

সিপিআইএম ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ২০১৯ সালে অয্যোধ্যা বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায় আইনের বৈধতা এবং এর প্রয়োগকে বহাল রেখেছে। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে, আইনি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হস্তক্ষেপ করা শীর্ষ আদালতের দায়িত্ব, যা আইন লঙ্ঘন করছে। এই নির্দেশের ভিত্তিতে উপাসনাস্থল আইন বিরোধী বিচারবিভাগীয় পদক্ষেপ বন্ধ করতে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ করা জরুরি। যদিও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সুপ্রিম কোর্ট উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ প্রয়োগ করে এই ধরনের মামলা বন্ধ করায় হস্তক্ষেপ করেনি।

এছাড়াও ওই বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার কৃষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা করছে সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো। এই ঘটনায় সারা ভারত কৃষক সভা এবং অন্যান্য সংগঠনের প্রায় ১৫০ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধৃত কৃষকরা কারাগারে অনশন করছেন। এই আন্দোলনের বহু নেতাকর্মীকে গৃহবন্দি করা হচ্ছে। লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা মহিলাদের ওপর হামলার ঘটনাকেও নিন্দা করেছে পলিটব্যুরো।

ছবি প্রতীকী
CPIM: 'বাংলায় বদল আনতে' ডিজিটাল মার্কেটিং সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ করছে রাজ্য সিপিআইএম
ছবি প্রতীকী
Delhi Assembly Polls: দিল্লি নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা আপ-এর, মণীশ সিসোদিয়ার আসনে ওঝা স্যার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in