Covid-19: ১২ বার কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা FIR বাতিলের দাবি RJD বিধায়কের

১২ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া ৮৪ বছর বয়সী ব্রহ্মদেব মন্ডলের বিরুদ্ধে করা এফআইআর বাতিলের দাবি জানালেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিধায়ক অধ্যাপক চন্দ্রশেখর।
আরজেডি বিধায়ক প্রফেসর চন্দ্রশেখর
আরজেডি বিধায়ক প্রফেসর চন্দ্রশেখরফাইল ছবি প্রফেসর চন্দ্রশেখরের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত

১২ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া ৮৪ বছর বয়সী ব্রহ্মদেব মন্ডলের বিরুদ্ধে করা এফআইআর বাতিলের দাবি জানালেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিধায়ক অধ্যাপক চন্দ্রশেখর। তিনি মাধেপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।

মাধেপুরা সদরের বিধায়ক চন্দ্রশেখর তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, "ব্রহ্মদেব মন্ডল কোভিড ভ্যাকসিনের ১২ ডোজ নিয়েছেন, কিন্তু তিনি অপরাধী নন। তাই, তার বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহার করা উচিত।"

তিনি আরও বলেন, "মন্ডল একটি কেস স্টাডি হতে পারে কারণ তিনি করোনার ১২ টি ডোজ নিয়েছেন। এটি সমগ্র বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি দুর্দান্ত অনুসন্ধানী বিষয় হতে পারে।"

তাঁর চিঠির পরে, মাধেপুরার এসপি রাজেশ কুমারও এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কুমার জানিয়েছেন, "মন্ডল একজন বয়স্ক ব্যক্তি এবং আমরা তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করছি না। আমি তাঁকে পুলিশের সামনে আসার এবং তদন্তে সহযোগিতা করার জন্যও আবেদন করছি।"

উল্লেখ্য, এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে ব্রহ্মদেব মণ্ডল পলাতক। পুলিশ তাঁর সন্ধানে খোঁজ চালাচ্ছে।

জন অধিকার পার্টির নেতা রাজেশ রঞ্জনও তাকে অভিযুক্ত হিসাবে আচরণ করার জন্য মধ্যপুরা পুলিশের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "এটি স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যর্থতা। ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য, স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।" ব্রহ্মদেব মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ থেকে ৪ জানুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত ১২ বার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি কোভিড নির্দেশিকাগুলির নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

মাধেপুরার আওরাই এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৮৪ বছরের ব্রহ্মদেব মণ্ডল দাবি করেছিলেন যে তাঁর কোনও দোষ নেই। এটা বিহারের স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি। তিনি বলেন, "টিকাটি করোনার সাথে লড়াই করার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের সাথে লড়াই করার জন্য আমার শারীরিক অবস্থা উন্নত করতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। আমি ১২ বার ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও ভুল করিনি বা আমার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।"

তিনি বলেন, "স্বাস্থ্য বিভাগ কীভাবে আমাকে ১২ বার ভ্যাকসিন দিয়েছে? এটা স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলা। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন এবং আমাকে দোষারোপ করছেন।"

- with inputs from IANS

আরজেডি বিধায়ক প্রফেসর চন্দ্রশেখর
Uttar Pradesh: বিহারের পর উত্তরপ্রদেশ - কোভিড সার্টিফিকেটে নীতিন গড়করি, অমিত শাহ, ওম বিড়লা

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in