
চাষের মরশুম পার হয়ে যাওয়ার ২ মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় কৃষকদের বিমার টাকা দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার। বীজ বপন ও ফসল কাটার মাঝখানে কোনোভাবে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও জারি করা হয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তি। ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করার একমাসের মধ্যে কৃষকদের বিমার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু খাতায়কলমে এসব নিয়ম থাকলেও বাস্তবে এর কিছুই মানা হয়নি। ফলে গত দুই অর্থবর্ষ ধরে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষকের বিমার ভাঁড়ার সেই শূন্যই থেকে গিয়েছে।
মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের হিসেব অনুযায়ী দেশের কৃষকদের ফসল বিমা বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭৬১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। রাজ্যের নিরিখে রাজস্থানের কৃষকদের সবচেয়ে বেশি বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। রাজস্থানের কৃষকদের পাওনা টাকার পরিমাণ ১৩৮৭.৩৪ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা মহারাষ্ট্রের কৃষকদের বকেয়া ৩৩৬.২২ কোটি টাকা।
দেশের কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, এবছর ফসলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের খুব সামান্য পরিমাণই বিমার আওতায় আসে। কিন্তু সেটাও সময় মতো দেওয়া হয়না। মঙ্গলবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের হিসেব দেখানো হয়েছে। এই মুহূর্তে ২০২৩-২৪ সালের অর্থবর্ষের চার মাস কেটে গিয়েছে। মাঝখানে একটা গোটা অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) কেটে গিয়েছে। বিমার টাকা না পেয়ে দেশের কৃষকদের অবস্থা ভয়ানক খারাপ। নতুন করে চাষ করার জন্য তাদের ঋণ পর্যন্ত নিতে হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই অনিয়ম? প্রকল্প থাকলেও কেন কৃষকরা তাঁদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না? কৃষিমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ফসল সংক্রান্ত তথ্য পাঠানোর কাজে কোনও কোনও রাজ্যে গাফিলতি দেখা গিয়েছে। বিমা সংস্থার কাছে প্রিমিয়ামের অর্থ বাবদ যে টাকা জমা করার কথা, সেটাও সময়মতো জমা হয়নি। প্রিমিয়ামের টাকায় রাজ্যের ভর্তুকির অংশও অনেকক্ষেত্রে জমা পড়ছে না।