
ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন মেঘালয় রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এবার তিনি সরাসরি গোয়া সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন। স্বাভাবিকভাবেই গোয়ার প্রাক্তন রাজ্যপালের এই ধরনের অভিযোগে সে-রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন সত্যপাল মালিক। তাঁর দাবি ছিল, একটি শিল্পগোষ্ঠী এবং আর এস এস সদস্যের দুটি ফাইল পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি আঁচ পেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানান। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
সত্যপাল নিজেকে লোহিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত বলে উল্লেখ করে বলেন, 'দুর্নীতির প্রসঙ্গে আমি খুবই শক্ত। বিষয়টিকে আমি খুব একটা ভালো চোখে দেখি না। যেদিন লকডাউন ঘোষণা হয়, সরকার বলেছিল যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানও খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না। কিন্তু কেন্দ্রের আশ্বাস ছিল, তা ঘরে ঘরে সরবরাহ করবে। যা অসম্ভব ছিল। কিন্তু একটি কোম্পানি টাকা দিয়েছিল। তারপর কংগ্রেস এবং আরও অনেকে আমার কাছে এসে আমাকে এই বিষয়ে বলেছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।'
গোয়ার প্রাক্তন রাজ্যপাল বিস্ফোরক অভিযোগ করেন যে, গোয়া সরকারের সবকিছুতেই দুর্নীতি ছিল। তাই তাঁকে বিদায় করা হয়েছিল। লকডাউন পরিস্থিতিতে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তিনি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, গোয়ায় একটি নতুন রাজভবন তৈরির বিষয়ে সাওয়ান্ত সরকারের 'অপ্রয়োজনীয়' পরিকল্পনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া মেলেনি মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের। তবে দলের তরফে গোয়ার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সদানন্দ শেত বলেন, 'সত্যপাল মালিক ভুল বিষয় পেশ করেছেন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে আনব বিষয়টা।' গোয়ার বিরোধী দলগুলি অবশ্য চুপ করে বসে নেই। তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে। কংগ্রেস নেতা এবং বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা দিগম্বর কামাত বলেন, রাজ্যপাল যা অভিযোগ করেছেন, তারপরে সাওয়ান্তের সরকার চালিয়ে যাওয়ার নৈতিক অধিকার নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন