মোদি ঘনিষ্ঠ এক শিল্পগোষ্ঠী ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ এক নেতার দুটি ফাইল পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেন। রাজস্থানে এক সভায় এমনটাই জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল মালিক।
তাঁর এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপি। গোটা বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানান। মালিকের দাবি, তিনি যেন দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস না করেন, এমনই পরামর্শ দিয়েছেন মোদি।
২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল হন মালিক। তাঁর অভিযোগ, তাঁর কাছে দু’টি ফাইল পাশ করানোর জন্য পাঠানো হয়। তার একটি ছিল বৃহৎ এক শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে উপত্যকার সরকারি কর্মচারি, পেনশনভোগী ও সরকার স্বীকৃত সাংবাদিকদের গোষ্ঠীর স্বাস্থ্যবিমা সংক্রান্ত চুক্তির ফাইল। অন্যটি ছিল মেহবুবা মুফতির মন্ত্রিসভার আরএসএস-ঘনিষ্ঠ এক সদস্যের একটি ফাইল।
তাঁকে আরও জানানো হয়, ওই সদস্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ঘনিষ্ঠ। দুটি ফাইলের জন্য তাঁকে ১৫০ কোটি করে মোট ৩০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু মালিক তা করতে অস্বীকার করে সাফ বলেন, 'আমি ওঁদের (আধিকারিকদের) বলেছিলাম, আমি ৫টা কুর্তি নিয়ে এসেছি, ৫টা কুর্তি নিয়েই ফিরে যাব।’
এরপর মালিক বিষয়টি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছু একটা দুর্নীতির আঁচ পেয়ে তিনি ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে দুর্নীতির সঙ্গে আপস করতে নিষেধ করেন। ২০১৮ সালেই ওই স্বাস্থ্যবিমা সংক্রান্ত চুক্তিটি বাতিল হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন শাখাকেও জানানো হয়।
তবে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই শিল্পগোষ্ঠীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন সত্যপাল মালিক। এবার দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।