
রক্ষকই ভক্ষক! এবার ১৫ বছরের এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, উত্তরপ্রদেশের ফতেহগড়ে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের নারী নিরাপত্তা।
অভিযোগ, ধর্ষণের সময় ওই কনস্টেবলের বন্ধু নির্যাতিতার দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছিলেন। ঘটনার কয়েকঘন্টা পর অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, বিনয় চৌহান নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই কনস্টেবল স্থানীয় থানাতেই কর্মরত। গত বুধবার (২ জুলাই) তাঁর মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল। কিছু দূর যাওয়ার পরই অভিযুক্ত তার পথ আটকায় এবং তাকে জোর করে টেনে একটি গাড়িতে তোলেন। এরপর এক অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী চিৎকার করতে শুরু করলে, গাড়ির ড্রাইভার তার দিকে বন্দুক তাক করেন এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এদিকে বিকাল হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে পরিবার।
কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ ঘন্টা পরে মেয়েকে বাড়ির কাছে ফেলে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত। গাড়ি থেকে ফেলার সময় কয়েকজন প্রতিবেশীর নজরে পড়ে ঘটনাটি। তাঁরা চিৎকার করে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের পিছনে ধাওয়া করেন। পরিবারের সদস্যরা বাইক নিয়ে গাড়ির পেছনে যান। প্রায় ২০০ মিটার ধাওয়া করে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে তারা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, পকসো এবং এসটি/এসসি-সহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, "অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একজন ডিএসপি-স্তরের কর্মকর্তা তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন"।
পুলিশের মতে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অভিযুক্তের সাথে নির্যাতিতার যোগাযোগ ছিল। ফোনে কথা হত দু'জনের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন