
দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৫ আগস্ট বৃহত্তর আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পদযাত্রার পাশাপাশি 'প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও'-এর পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ঘেরাও-এর দায়িত্বে রয়েছেন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারা।
'রাষ্ট্রপতি ভবন চলো' অভিযানে অংশ নেবেন লোকসভা এবং রাজ্যসভা - সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যরা। অন্যদিকে রাজ্যে রাজ্যে 'রাজভবন ঘেরাও' করবেন কংগ্রেসের সকল বিধায়ক (MLA), এমএলসি (MLC) এবং প্রাক্তন সাংসদরা (Ex. MP)। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ দিনের বিক্ষোভের জেরে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের গণ-গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রশাসন।
গত, ১৮ জুলাই সংসদে বাদল (Monsoon) অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই মূল্য বৃদ্ধি, জিএসটি (GST) বৃদ্ধি এবং অগ্নিপথ প্রকল্প (Agneepath scheme) নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর জেরে গত সপ্তাহে সংসদে বেশ কয়েকবার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
অধিবেশন শুরু হতেই মূল্যবৃদ্ধি ও প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের উপরে জিএসটি বসানো নিয়ে সংসদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস থেকে শুরু করে শিবসেনা, টিআরএস - সবকটি দলই ধর্নাবিধি অমান্য করে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
সরকারি তথ্যে জানা গেছে, গত বছর এপ্রিল মাসে পাইকারি বাজারে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৭৪ শতাংশ। তারপর থেকে টানা ১৩ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার ‘ডবল ডিজিট’এর মধ্যে রয়েছে।
সম্প্রতি এক প্রেস বিবৃতিতে ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT) জানিয়েছে, ‘২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অপরিশোধিত ক্রুড ওয়েল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কেমিক্যালজাত পণ্য ও খাদ্য সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণে পাইকারি বাজারে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি ঘটেছে।’ জুন-জুলাই মাসেও সেই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।