তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার বলেছে যে তারা সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেসের সাথে সমন্বয় রাখতে ‘আগ্রহী নয়’। কিন্তু জনগণের স্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অন্যান্য বিরোধী শিবিরের সাথে সহযোগিতা করবে। ২৯ নভেম্বর কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তৃণমূল সম্ভবত উপস্থিত থাকবে না।
ইদানিং কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে বেশ টানাপড়েন চলছে। বিশেষত তৃণমূল যখন গোয়াতে নির্বাচন লড়ার কথা ঘোষণা করে, তখন থেকেই এই টানাপড়েনের সূত্রপাত। তারপর থেকে একের পর এক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। সম্প্রতি মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় দুই শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এই পরিস্থির মধ্যেও বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খগড়ে বলেছিলেন – ২৯ শে ডিসেম্বর তৃণমূল সহ ১৪টি দলের বৈঠক হবে।
এর আগে তৃণমূল ও কংগ্রেস একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই চলছিল। কংগ্রেস নেতাদের ডাকা বৈঠকেও নিয়মিত হাজির হাক্তেন তৃণমূলের নেতারা। কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকগুলিতে প্রথম সারির নেতারা না যেতে পারলে অন্তত একজন করে প্রতিনিধি পাঠাত তৃণমূল। আপাতত সেসব আর হচ্ছে না।
তৃণমূলের এক প্রবীন নেতার কথায় – “আমরা শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেসের সাথে সমন্বয় করতে আগ্রহী নই। কংগ্রেস নেতাদের প্রথমে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করা উচিত। আগে তাদের নিজেদের ঘর ঠিক করুক। তারপরে অন্য শিবিরের সাথে সমন্বয় করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করুক।”
স্পষ্টতই, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতে বিজেপি বিরোধী ঐক্য কিভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বিরোধী শিবিরে। কংগ্রেসের বেশকিছু নেতা তৃণমূলের এই আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি তৃণমূল আসলে বিকেপিকেই সুবিধা করে দিচ্ছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।