
ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা রক্ষা করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। মঙ্গলবার এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে এক রিট পিটিশন দাখিল করেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। ভারতের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনা সাম্প্রতিকতম কিছু সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
কংগ্রেসের বক্তব্য অনুসারে, নির্বাচনী নিয়মকানুনে কমিশনের সাম্প্রতিকতম রদবদলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট হবে। ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থার ক্ষয় রোধ করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানাচ্ছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জয়রাম রমেশ এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) বার্তায় এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নির্বাচনী বিধিকে লঘু করার চেষ্টা করছে। যার ফলে নির্বাচন ব্যবস্থায় সাধারণের খোঁজখবর নেবার যে সুযোগ ছিল, যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ওয়েবকাস্টিং ফুটেজ, বুথে ভিডিও রেকর্ডিং জাতীয় কার্যপ্রণালী বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ, এইসব ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এগুলি তুলে দেওয়া হলে তার আঘাত নেমে আসবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর।
এদিনের বার্তায় রমেশ আরও বলেন, ১৯৬১ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিনিয়মের সাম্প্রতিক সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, এক সাংবিধানিক সংস্থা, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত, একতরফাভাবে এবং জনসাধারণের পরামর্শ ছাড়াই এত গুরুত্বপূর্ণ আইন এত নির্লজ্জভাবে সংশোধন করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এটি বিশেষভাবে সত্য যে এই সংশোধনী নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করে তোলার প্রয়োজনীয় তথ্যে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার বাতিল করে দেয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। আশা করি সুপ্রিম কোর্ট এটি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।
শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ১৯৬১ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার ৯৩(২)(ক) বিধি সংশোধন করে জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য প্রকাশ্য “কাগজপত্র” বা নথির ধরণে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা জারি করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন