
'বিরোধী শিবিরে কংগ্রেস এখনও 'বৃহত্তম দল'। অন্যান্যদেরও ব্যবহারিকভাবে এই বাবস্তবতা মানতে হবে।' রবিবার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা, পিছিয়ে পড়া নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলছে আঞ্চলিক দলগুলি, তেমনই এক সময়ে কংগ্রেসকে বিরোধী শিবিরের 'বৃহত্তম দল' বলে সওয়াল করলেন লালু পুত্র তেজস্বী।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য 'বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য' চান তেজস্বী। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছেন নীতিশ কুমারও। সেকথা সামনে এনে এদিন তেজস্বী বলেন, 'কংগ্রেস সভানেত্রী বিদেশ থেকে ফিরলে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ।'
এদিন তিনি বলেন, 'বিরোধী নেতাদের একমাত্র 'ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা' হওয়া উচিত- বিজেপিকে পরাজিত করা।' এরপরেই তেজস্বী বলেন, 'একটা ভালো সূচনা হয়েছে। বিহার একটি ভাল অবস্থান নিয়েছে। অন্যান্যদেরও এটি অনুকরণ করা উচিত। অনেক নেতার সঙ্গে নীতিশজী দেখা করেছেন। লালুজীও কথা বলেছেন। আমিও দেখা করছি। সোনিয়া গান্ধী ফিরে এলে, আগামীর পথচলা ঠিক করতে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন নীতিজী ও লালুজী। আগামী লোকসভা নির্বাচনের বিষয়ে অবশেষে একটি কথাবার্তা শুরু হয়েছে। বিহারে এই অবস্থা আগে ছিল না।'
সম্প্রতি, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলির সাথে হাত মিলিয়েছেন নীতিশ কুমার। বিজেপি বিরোধীদের নিয়ে নতুন সরকার গঠন করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গ টেনে তেজস্বী বলেন, 'এটি বিজেপি বিরোধী শিবিরে 'আশা' জাগিয়েছে। ধীরে হলেও সারাদেশে এর প্রভাব পড়বে।'
তেজস্বীর কথায়, 'এটি অবশ্যই একটি পার্থক্য তৈরি করবে। জেডি (ইউ) জোট ভাঙার পর ইতিমধ্যেই বিজেপির শক্তি কমেছে। অঙ্কের হিসাবে, এখন কংগ্রেস, আরজেডি, জেডি(ইউ), বাম দলগুলির সম্মিলিত ভোটের ভাগ ৫০ শতাংশেরও উপরে। বিহারে বিজেপি আর ৪০ টি আসনের মধ্যে ৩৯ টি পাবে না। রাজস্থানে কংগ্রেস 'শূন্য' আসন পেয়েছিল, সেটা আর হবে না। যদি আমরা হাত মেলাই এবং একটি কৌশল নিয়ে লড়াই করি, তাহলে বিজেপি অবশ্যই ৫০ শতাংশ আসন ছুঁতে পারবে না।'
এরপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আরজেডি নেতা বলেন, 'আমরা এই সত্য অস্বীকার করতে পারি না যে, সংসদে তাদের (কংগ্রেসের) সংখ্যা আমাদের চেয়ে বেশি। শেষ পর্যন্ত, সংখ্যা হবে নির্ধারক ফ্যাক্টর, বিবৃতি নয়। অন্যান্যরা (দলগুলি) বেশিরভাগই তাদের নিজস্ব রাজ্যে সীমাবদ্ধ। তাই, জনগণকে প্র্যাকটিকালি ভাবতে হবে এবং পরিস্থিতি বুঝতে হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন