
দেশজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও GST-র প্রতিবাদে পথে নেমেছে কংগ্রেস। তাদের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তাপ ছড়ায় রাজধানীতে। রাহুল সহ একাধিক নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ।
সকাল থেকেই রাজধানীর একাধিক জায়গা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। যন্তরমন্তর বাদে সকল জায়গায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। রাহুল, প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে দেখা যায় কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের কালো পোশাকে বিক্ষোভ দেখাতে।
শুক্রবার সকালেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, 'ভারত গণতন্ত্র মৃত্যুর সাক্ষী থাকছে। এক শতাব্দী আগে ভারত ধাপে ধাপে গড়ে উঠতে শুরু করেছিল। সকলের চোখের সামনেই তা ধ্বংস করা হচ্ছে। ভারতে গণতন্ত্র নয় একনায়কতন্ত্র চলছে। আর এর প্রতিবাদ করলেই তাঁদেরকে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতের পিছিয়ে পড়া মুদ্রাস্ফীতি এবং ঐতিহাসিক বেকারত্ব থেকে, আমাদের নীতি নিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকার ভীত'।
পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান অমরিন্দর সিং রাজা বলেন, দেশের সব থেকে বড় সমস্যা হল মুদ্রাস্ফীতি। কর চাপানো হচ্ছে। আমরাও শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘুম ভাঙানোর জন্যই এই প্রতিবাদ।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাও পুলিশ দলীয় নেতৃত্বদের বিজয়চকের কাছে আটক করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং অগণতান্ত্রিক’। এদিন বিহার, পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে খাবারে জিএসটি ফেরানোর স্লোগানও দেন।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন