
বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনে ব্যস্ত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। বৃহস্পতিবার মোট ১৪১০ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত স্থাপন করলেন তিনি। রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার সবসময় গোটা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বলে এদিন মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি, বর্তমানে রাজস্থান প্রায় সবকটি ক্ষেত্রেই দেশের মধ্যে একটি আদর্শ রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বলেও দাবি করেছেন গেহলট।
বৃহস্পতিবার জয়পুর মেট্রোর ফেজ ১-সি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন অশোক গেহলট। প্রকল্পটিতে মোট ৯৮০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে JDA (Jaipur Development Authority) সূত্রে খবর। পাশাপাশি, এদিন জয়পুরেই ৪৩০ কোটি টাকার মোট ৯টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত স্থাপনও করেছেন তিনি। গেহলট জানিয়েছেন, “রাজস্থান এখন সারা দেশের মধ্যে একটি আদর্শ রাজ্য হিসেবে উঠে আসছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, সড়ক পরিবহন, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই রাজস্থান এখন অনেক এগিয়ে। এই রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে সারাদেশে কথা হচ্ছে।”
মিশন ২০৩০-এর আওতায় রাজস্থানকে দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজ্যের তালিকায় প্রতিষ্ঠিত করতে সম্প্রতি একটি পরিকল্পনাপত্র তৈরি করা হয়েছে। যার জন্য মরুরাজ্যের প্রায় ২ কোটি মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গেহলট। গোটা রাজ্যকে ট্রাফিক লাইটবিহীন করার পরিকল্পনাও রয়েছে রাজস্থান সরকারের। এই নিয়ে গেহলট জানিয়েছেন, “কোটায় চম্বল নদীর ধারে এই লক্ষ্যে খুব সুন্দর কাজ হয়েছে। কোটার পর এবার আমরা জয়পুরকেও ট্রাফিক সিগন্যালহীন করতে চাই। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা গোটা রাজ্যকে ট্রাফিক লাইটবিহীন করতে চাই।”
গেহলট এদিন আরও জানিয়েছেন, “রাজস্থান সরকার ত্রাণ শিবিরের আয়োজন করে ১০টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে। শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টাতেই রাজ্যের মানুষকে ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরও উচিত সারা দেশে ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস প্রদান করা।” একইসঙ্গে ইন্দিরা গান্ধী আরবান এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রকল্পের মাধ্যমে শহরাঞ্চলগুলিতে মানুষকে কাজ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, “অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারের নিরিখে রাজস্থান এখন উত্তর ভারতের পয়লা এবং গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় রাজ্য। চলতি অর্থবর্ষ শেষের মধ্যে রাজ্যের জিডিপি হবে ১৫ লাখ কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা রাজ্যের জিডিপিকে ৩০ লাখ কোটিতে নিয়ে যেতে চাই। এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”