Maharashtra: ‘ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকারও ব্যর্থ’, ৭ মাসে ১৫০০ কৃষকের আত্মহত্যায় সরকারকে তুলোধোনা কংগ্রেসের

People's Reporter: সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিদর্ভ প্রশাসনিক বিভাগের। বিদর্ভ বিভাগের অমরাবতি ডিভিশন থেকেই ৬৩৭ জন কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে এবং নাগপুর ডিভিশনে ১৪৪টি কৃষক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মহারাষ্ট্রের কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে ফের রাজ্যের একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা-বিজেপি-এনসিপি সরকারকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে রাজ্যে আত্মহত্যা করেছেন দেড় হাজারেরও বেশি কৃষক। এ সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার।

এই বছরে মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতে ব্যাপক পরিমাণে ঘাটতি হয়েছে, যার ফলেই মাত্র সাত মাসে দেড় হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন ওয়াদেত্তিয়ার।

চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে, আবার কোথাও এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। ফলে রাজ্যে তৈরি হয়েছে প্রবল খরা পরিস্থিতি। যার প্রভাবে সময় মতো ফসল ঘরে না তুলতে পেরে চরম অসুবিধায় পড়েছেন রাজ্যের কৃষকরা।আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৫৫৫ জন কৃষক।

মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার এদিন এই বিষয়ে শিবসেনা-বিজেপি-এনসিপি সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, “মহারাষ্ট্রের ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকারও রাজ্যের কৃষকদের জীবন রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।” সরকার কবে রাজ্যের খরা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব সহকারে দেখবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ১৫৫৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে এদিন অভিযোগ করেছেন ওয়াদেত্তিয়ার। রাজ্যের ছয়টি প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে কোঙ্কন, বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া, উত্তর মহারাষ্ট্র ও পশ্চিম মহারাষ্ট্র – এই পাঁচটি বিভাগ থেকেই সবচেয়ে বেশি কৃষক মৃত্যুর খবর এসেছে বলে জানান তিনি। এই পাঁচটি বিভাগীয় অঞ্চলে প্রবল খরা পরিস্থিতিই কৃষকদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে বলে দাবি তাঁর। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিম উপকূলীয় কোঙ্কন বিভাগে কোনও কৃষক মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিদর্ভ প্রশাসনিক বিভাগের। এই বিদর্ভ বিভাগের মধ্যে আবার রয়েছে দুটি আলাদা রাজস্ব ডিভিশন - নাগপুর ও অমরাবতি। যার মধ্যে শুধুমাত্র অমরাবতি ডিভিশন থেকেই ৬৩৭ জন কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে এবং নাগপুর ডিভিশনে ১৪৪টি কৃষক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, বিদর্ভের পরেই সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা মারাঠওয়াড়া বিভাগের। যেখানকার ঔরঙ্গাবাদ ডিভিশনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৫৮৪ জন কৃষক। পাশাপাশি, স্বাভাবিকের থেকেও কম বৃষ্টি হয়ে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এরকম একডজন জেলার তালিকাও এদিন প্রকাশ করেছেন ওয়াদেত্তিয়ার।

প্রতীকী ছবি
MP: ভোটের আগে ফের অস্বস্তি গেরুয়া শিবির, মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ BJP নেতা যোগ দিলেন কংগ্রেসে

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in