

৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক থামতেই চাইছে না উপত্যকার বিধানসভায়। অধিবেশনের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয়বার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় হাতাহাতিতে জড়ালেন বিধায়করা। পরিস্থিতি সামলাতে ফের নামতে হল মার্শালদের।
শুক্রবার বিতর্কের সূত্রপাত হয় কুপওয়ারা কেন্দ্রের পিডিপি বিধায়কের একটি ব্যানার নিয়ে। যেখানে ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধারের সমর্থনে কিছু লিখেছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তারপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়করা।
পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ পাড়া ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করার পরে প্রথম দিনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। তিনি স্পিকারের কাছে প্রস্তাবটি জমা দিয়ে ৫ দিনের অধিবেশনে এই বিষয়ে আলোচনার অনুরোধ জানান।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে মার্শাল ডাকতে বাধ্য হন স্পিকার আব্দুল রহিম। ১২ জন বিজেপি বিধায়কের পাশাপাশি আওয়ামি ইত্তেহাদ দলের বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখকেও বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেয় মার্শাল। যার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বাকি বিজেপি বিধায়করা। ১১ জন বিজেপি বিধায়ক ওয়াকআউট করেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল আওয়ামি ইত্তেহাদ দলের বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ বিধানসভায় ৩৭০-র সমর্থনে একটি পোস্টার দেখান। যার তীব্র আপত্তি জানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক সুশীল শর্মা। প্রথমে বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। মাটিতে ফেলে একে অন্যকে মারতে দেখা যায়। মার্শালরা নেমে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ছ’বছর পরে গত অক্টোবর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন হয়। ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোট করে সরকার গঠন করে। গত সোমবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় অধিবেশন বসে। প্রথম দিন থেকেই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন